খুঁজুন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলেন কে এই জামাল.

চট্টগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার মারুফ হোসেন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলেন কে এই জামাল.

নগরীর ইপিজেডে পুলিশের ভয় দেখিয়ে ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা তোলেন কে এই জামাল.
চট্টগ্রামের ইপিজেড বেশপিং সেন্টার
থেকে শুরু করে বেপজা মন্দির গেইট পর্যন্ত রাস্তার দক্ষিণ পাশে
সড় ও ফুটপাতে হকার বসিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিতে নেমেছে কেশিয়ার জামাল উদ্দিন নামে চাঁদাবাজ দোকান বসাতে তাকে এককালীন দিতে হয়েছে কাউকে ২০ হাজার টাকা। স্থান বুঝে কাউকে গুণতে হয়েছে ৩০ হাজারও। আবার দিনে মাসোহারা দিতে হয়
৫০ থেকে ১০০ টাকা। চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসানো ভাসমান হকারের কাছ থেকে এই হারে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এই চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের ইপিজেড রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) পুলিশের কিশিয়ার পরিচয় দিয়ে মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের
বিরুদ্ধে। অভিযোগ
হাতে আসা একটি ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ব্যস্ত মহাসড়কের পাশে বেচাকেনার আসর বসিয়েছে হকাররা। হকারদের কেউ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের উপরও। পণ্য কিনতে ক্রেতার মনযোগ আকর্ষণে হাঁকও ছাড়ছে বিক্রেতারা৷ কেউ বিক্রি করছেন কাপড়। কেউ নিয়ে বসেছেন পান–সিগারেট, ফলমূল মাছ, কাঁচা সবজি তরি তরকারি । মোবাইলের কাভার, হেডফোন, চার্জারও বিক্রি হচ্ছে এই ব্যস্ত সড়ক ঘেঁষে।

প্রত্যেকে জায়গা দখল করেছে ৬ থেকে ৮ ফুট জায়গা। এজন্য পুলিশের ভয় দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির কথিত কেশিয়ার জামাল উদ্দিন। এমনকি তাকে এককালীন দিতে হয়েছে কাউকে ২০ হাজার টাকা। স্থান বুঝে কাউকে গুণতে হয়েছে ৩০ হাজারও। আবার দিনে মাসোহারা দিতে হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
সেই হিসাবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী কেবলমাত্র বেশপিং সেন্টার থেকে শুরু করে বেপজা মন্দির গেইট পর্যন্ত সকাল বিকাল এই স্থানটিতে ভ্রাম্যমান প্রায় সকালে ২০০ দোকান ও বিকেলে ২০০ দোকান বসে এই অনুপাতে ২০০ দোকান থেকে ১০০ টাকা হারে আদায় করলে দৈনিক টাকার পরিমান দাঁড়ায় ২০ হাজার টাকা অন্যদিকে আরো ২০০ দোকান থেকে প্রতি দোকানে ৫০ টাকা করে হিসেব করলেই দৈনিক আসে ১০
হাজার টাকা এতেই হিসেবে অনুযায়ী দৈনিক মোট ৪০০ দোকান থেকে জামাল চাঁদা তোলেন পুলিশের ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা। যাহা মাসিক হিসেবে ৩০ দিনে দাঁড়ায় হিসাবের পরিমাণ মাসিক নয় লক্ষ টাকা।

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বসানো ভাসমান হকারের কাছ থেকে এই হারে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এই চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির কেশিয়ার পরিচয়ে
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় চাঁদাবাজ মোঃ জামাল উদ্দিনের
বিরুদ্ধে। প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ব্যস্ত মহাসড়কের পাশে বেচাকেনার আসর বসিয়েছে হকাররা। হকারদের কেউ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের উপরও। পণ্য কিনতে ক্রেতার মনযোগ আকর্ষণে হাঁকও ছাড়ছে বিক্রেতারা৷ কেউ বিক্রি করছেন কাপড়। কেউ নিয়ে বসেছেন পান–সিগারেট, ফলমূল। মোবাইলের কাভার, হেডফোন, চার্জারও বিক্রি হচ্ছে এই ব্যস্ত সড়ক ঘেঁষে। প্রত্যেকে জায়গা দখল করেছে ৬ থেকে ৮ ফুট জায়গা। একজন আনসার সদস্য হেটে এলেন সেখানে। তিনি একপাশ থেকে যাওয়া শুরু করলেন হকারদের মুখে মুখে। সময় বেশি নিচ্ছেন না তিনি। তার হাতে হকাররা গুজে দিচ্ছেন টাকা।

এক হকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দ্রুত গতিতেই ছুটছেন তিনি পাশের হকারের কাছে।

এ চিত্র ইপিজেড থানার বেশপিং সেন্টার থেকে বেপজা
গেইট এলাকার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হকার বলেন, ‘আমি ছোট ব্যবসায়ী। ফুটপাতে বা সড়কে ব্যবসা করতে হলে সবাইকে কমবেশি টাকা দিতে হয়। সবাই নেয়। এখানে সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ প্রতিদিন ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়’। সড়কের উপর বসা এক হকার বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তেমন ব্যবসাবাণিজ্য হয় না। সড়কে বসছি এককালীন মোটা অংকের টাকা দিয়ে। ৬ থেকে ৮ ফুটের এই জায়গার জন্য ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। আবার নিয়মিত টাকা দিতে হয় কয়েকজন। বিকেলে এসেই ওই টাকা নিয়ে যায়।

তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন নির্দিষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি কোন পুলিশের এশিয়ার জানতে চাইলে জামাল বলেন আমি ঊর্ধ্বতন ও পুলিশের জন্য টাকা তুলি , ‘। তবে ইপিজেট থানার দায়িত্বগত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন এ ঘটনা সত্য হলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
তবে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান হকাররা অভিযুক্ত চাঁদাবাজ জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর আসু হস্হ ক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ্য যে এ জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ইপিজেড এলাকায় পুলিশের ভয় দেখিয়ে পুলিশের জন্য চাঁদা তুলেন বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।

বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে

কানাডায় পলাতক রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
   
কানাডায় পলাতক রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

মরক্কোয় বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। কানাডায় পালিয়ে গিয়ে, তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে যে পোস্ট করেছেন, তা গোপন উদ্দেশ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে এবং বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মরক্কোয় বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে এসে দ্রুত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে, তিনি ওই পদে বহাল থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব ছাড়েন।

বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, তিনি নানা অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া, তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে যান। ৬ মার্চ তিনি ঢাকা ফিরে আসবেন বলে নির্ধারিত ছিল, কিন্তু তিনি ফেরত আসেননি।

শুক্রবার তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রশংসা করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে এমন ভ্রান্ত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন। পোস্টে হারুন আল রশিদ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে অসম্মান করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা এই ধরনের পোস্ট একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু উদ্বেগজনক। এটি লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিপ্রায়কেও ইঙ্গিত করে।

বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, কানাডায় গিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করে, তিনি নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই তার ও তার পরিবারের পাসপোর্ট বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এসব কার্যকলাপের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মন্ত্রণালয় তার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ   এর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রুবেল  ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ    সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের বিরুদ্ধে  ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ  ও দুর্নীতিতে দিশেহারা ভোক্তভোগীগণ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন এলাকাবাসী

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
   
শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ   এর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রুবেল  ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ    সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের বিরুদ্ধে  ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ  ও দুর্নীতিতে দিশেহারা ভোক্তভোগীগণ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন এলাকাবাসী

 চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম রুবেল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের   বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিগেট তৈরি করে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন এমনটিই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট থেকে। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকসহ ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা কোনো দলিল রেজিস্ট্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে হয়রানির শেষ থাকে না। দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন সাব-রেজিস্ট্রারসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। আমরা তাদের কাছে জিম্মি। প্রকাশ্যে টিপসহি প্রতি ঘুষ নিচ্ছেন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে এভাবে ঘুষ নেন একজন পিয়ন, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
সাধারণ মানুষের ধারণা সরকারি অফিস মানেই হচ্ছে ঘুষ বা অবৈধ লেনদেনের কারবারের জায়গা। সরকারি কর্মকর্তা মানে হচ্ছে জনগণের সেবক, এমন বিষয়টিই আমরা জেনে আসছি। কিন্তু তাঁরা আসলে কতটা জনগণের সেবক, তা নিয়ে জনগণের মনেই সব সময় সন্দেহ কাজ করে। আর সংবাদমাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত খবরাখবর থেকেই আমরা বুঝতে পারি বাস্তবতা আসলে কী বলে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েও বিগত সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বরং কোনো কোনো জায়গায় ছাড় দিয়ে দুর্নীতিকে আরও প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি পারবে সরকারি অফিসগুলো দুর্নীতিমুক্ত করতে?
ঘুষ, চাঁদাবাজি বা অবৈধ লেনদেনের সব সময় বড় অভিযোগ ওঠে তহশিল অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোকে কেন্দ্র করে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে জমির দলিলসহ সরকারি যেকোনো দলিল বা চুক্তিপত্র নিবন্ধন করা হয়। সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় উৎস এসব অফিস। কিন্তু অভিযোগ আছে, যত রাজস্ব এসব অফিস থেকে আদায় করা হয়, তার চেয়ে বহুগুণ অর্থ এখানে অবৈধভাবে লেনদেন হয়। এ নিয়ে সব সময় সংবাদমাধ্যমগুলো সরব থেকেছে। এরপরও দেশজুড়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দুর্নীতির দৌরাত্ম্য কমেনি। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও দিন শেষে পরিস্থিতি আগের জায়গায় গিয়েই ঠেকে।
অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম। শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম  রুবেল ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন   এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমুদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সব মিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ   সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার কিছু অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে পারবে না। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।
এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীগণ।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সব ধরণের অবৈধ লেনদেন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে যথাযথ জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।   বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন; সারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের সাথে

মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
   
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা জান্তা সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারেন রাজ্যের হপা-আন জেলার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সামরিক বাহিনীর ‘পুলুতু ঘাঁটি’ দখল করে নেয় কেএনএলএ।

কারেন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় এক মাস ধরে লড়াইয়ের পর আজ ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। সেখানে শাসকগোষ্ঠীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩১-এর সৈন্যরা অবস্থান করছিল।

কেএনএলএ ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডারের বরাত দিয়ে কারেন ইনফরমেশন সেন্টার (কেআইসি) জানিয়েছে, অভিযানের সময় দুই জান্তা সেনা নিহত এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

কেএনএলএ কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগের সংঘর্ষে কেএনএলএ স্নাইপাররা পুলুতু ঘাঁটির ছয় জন শাসক সৈন্যকে হত্যা করেছিল।

থাই মিডিয়া আউটলেট দ্য রিপোর্টার্সের মতে, শুক্রবারের প্রতিরোধ হামলা থেকে পালিয়ে আসা শাসক সৈন্যদের আটক করে থাই সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের যে কোনো লঙ্ঘন রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কেএনএলএ এবং তার মিত্রদের প্রায় ১০০ জন সৈন্যের একটি বাহিনী মন রাজ্যের বেলিন টাউনশিপে জান্তার কৌশলগত মে পাল ঘাঁটি দখল করে। সেসময় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ২৯ জন সৈন্যকে বন্দী করা হয়। কেএনইউ জানিয়েছে, ঘাঁটির জন্য লড়াইয়ের সময় নিহত ২৯ জন শাসক বাহিনীর মধ্যে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।

২০২১ সালে জান্তা সেনারা দেশব্যাপী শত শত শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পর থেকে কারেন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনটি কয়েক হাজার শাসনবিরোধী নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে।

বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পাশাপাশি কেএনইউ-এর সশস্ত্র শাখাগুলো কারেন ও মন রাজ্য, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চলে, পাশাপাশি জান্তার প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে লড়াই করছে।

জান্তা কেএনইউ-অধিকৃত অঞ্চলে বেশিরভাগ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালানোর জন্য ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এর ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।