গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতিবাজদের সকল সেক্টর থেকে খুঁজে খুঁজে বের করে দুর্নীতির দায়ে শাস্তি দিচ্ছে , সংস্কার করছে যাবতীয় মন্ত্রণালয় বাকি ছিল বন মন্ত্রণালয়ের রাঘব বোয়াল দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির খতিয়ান তদারকি, এবার বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী সহ ডজনখানেক বন কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্যর অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমেছে দুদক চব্বিশ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল বনভবনে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর অফিসে বন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সময়ে প্রকল্পের নথি পত্র যাচাই-বাছাই করেন এবং দুর্নীতির প্রাথমিক আলামত পান, উল্লেখ্য প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এবং সুন্দরবনের নানা প্রাণী ঘুষ বাণিজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের একজন সিনিয়ার বন সংরক্ষক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর সাথে সুন্দরবনের নানামুখী দুর্নীতিতে যারা জড়িত রয়েছেন তারা হলেন পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড হাছানুর রহমান
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করিম সাবেক খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হাসানুর রহমান সাবেক সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক কে এম ইকবাল হাসান চৌধু রি সাবেক সরকারী বন সংরক্ষণ কে এম হাসান সাবেক কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বর্তমান বন সংরক্ষক খুলনা অঞ্চল মিহির কান্তি দে সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী সাবেক ও বর্তমান পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার টিয়ে ফজলুল হক সহ একাধিক দুর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তারা জোট বেঁধে নিজের আখের গোছাতে সুন্দরবন সুন্দরবনের প্রাণীকুল ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর সাথে।খুলনা বন সংরক্ষক মিহির কান্তি দে সহ উল্লেখিত দুর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তাদের নামে বারবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এদের দুর্নীতির খবর নিয়মিতভাবে প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে তারপরও প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি । সুন্দরবনে বন ও প্রাণীদের জন্য৮৮ পুকুর খননের যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল সেই প্রকল্পের ১০% টাকা ও ব্যয় হয়নি কারণ সব পুকুরগুলো আগে থেকে খনন করা ছিল এই বরাদ্দর টাকায় পুকুরগুলো শুধু পাহাড়গুলো সংস্কার করে যাবতীয় টাকা ছড়িয়ে সবাই প্রধান বন সংরক্ষণ আমির হোসেন চৌধুরীর মাধ্যমে লুটপাট করেছে যাহা তদন্ত হলে প্রমাণ মিলবে, এছাড়া প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী নির্দেশে গত জুলাই ২০২৪ বিএল ছি নবায়নে সরকারি রাজস্ব রয়েছে 34 টাকা ৫০ পয়সা কিন্তু অসহায় বনজীবীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত, এছাড়া সুন্দরবনে দুজন জেলে এক সপ্তাহের পাশে সরকারি রাজস্ব আসে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা সেখানে জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে
৭০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, জুন মাস থাকে তিন মাস সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুম সে কারণে এই তিন মাস সুন্দরবনে জেলেসহ পর্যটক পর্যন্ত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । কিন্তু প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী উল্লেখিত দুর্নীতিবাজদের লেলিয়ে দিয়ে ওই তিন মাস প্রতি জেলেদের কাছ থেকে সপ্তাহে ২০০০ টাকা ঘুষ নিয়ে সুন্দর বনে অবাধে মাছ কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে,, বর্তমান প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের আমলে নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে সুন্দরবন সহ বাংলাদেশের বন বিভাগে চালিয়েছে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য,। আমির হোসেন চৌধুরী যেখন থেকে প্রধান বন সংরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে তখন থেকে মন্ত্রণালয় থেকে যত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের নামে সব প্রকল্পের টাকা ১০% ও কাজ হয়নি উল্লেখিত কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নিজের আখের গুছিয়েছে যার প্রমাণ তার ব্যক্তিগত একাউন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করলে এবং তার সম্পত্তি খবর নিলে সব অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসবে,, সাংবাদিকরা সুন্দরবনের অনিয়ম দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ও তার উল্লেখিত পালিত কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়, এই সমস্ত দুর্নীতির কোন প্রতিকার প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী আমলে না নেওয়ায় এই গণঅভ্যুত্থানের পর খবর প্রকাশ
করে মাননীয় জলবায়ু পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান মহোদয় কে অবহিত করলে উপদেষ্টা মহোদয়ের হস্তক্ষেপে সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এজেড হাছানুর রহমান
আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক কে এম ইকবাল হাসান কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হাসানুর রহমান সাতক্ষীরা রেঞ্জার সাবেক বন সংরক্ষক এ কে এম হাসান।সহ ডজনখানেক বন কর্মকর্তাদের কর্মস্থল থেকে অপসারণ করে অন্যতরে বদলি করা হয়েছে, এখন বর্তমান প্রধান বন সংরক্ষণ আমির হোসেন চৌধুরীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অপসারণ করলে দুর্নীতি অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্যের তদন্ত কাজে সহজ হবে সেজন্য এক্ষুনি প্রয়োজন প্রধান বন সংরক্ষণ আমির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া,, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের একটি দল প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয় বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ কিভাবে স্যার করা হয়েছে কিভাবে লেনদেন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন শুধু একটি প্রকল্প দেখলে হবে না হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অর্থ লুটপাট হয়েছে যাহা তদন্ত করলেই ধরা খাবে আমির হোসেন চৌধুরী সহ উল্লেখিত রাঘব বোয়াল বন কর্মকর্তারা সে কারণে এই তদন্তের স্বার্থে আমির হোসেন চৌধুরী কে এক্ষুনি চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে হবে তাহলে তদন্ত কাজে সহজ হবে এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর একজন বনোপ্রহারি অভিযোগ করে বলেছেন সুন্দরবনের ঘুষের টাকা বস্তায় বস্তায় যায় প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর বাসায় , তিনি আরো জানান একজন বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে বদলি হতে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী কে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হয়। একজন সহকারী বন সংরক্ষক বদলি হতে আমির হোসেন চৌধুরীকে তিন
লক্ষ টাকা দিতে হয়। একজন ফরেস্ট রেঞ্জার অথবা স্টেশন কর্মকর্তা কে বদলি হতে আমির হোসেন চৌধুরীকে ২ লক্ষ টাকা দিতে হয়। একজন বন সংরক্ষণ কে বদলি হতে আমির হোসেন চৌধুরীকে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা দিতে হয় একজন বন প্রহরী কে বদলি হতে আমির হোসেন চৌধুরীকে 70 থেকে 1 লাখ টাকা দিতে হয়, একজন বটম্যান কে বদলি হতে ৩০ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রধান বন সংরক্ষক আমিন হোসেন চৌধুরীকে দিতে হয়, এভাবেই এই দুর্নীতিবাজ আমির হোসেন চৌধুরী বানিয়েছে আলিশান বাড়ি ব্যাংকে জমিয়েছে কোটি কোটি টাকা, তার কাছে বনবিভাগের বন রক্ষীদের দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য অনিয়মের বিরুদ্ধে কেহ অভিযোগ করে এই পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি কোন অভিযোগ আলোর মুখ দেখেনা আমির হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের আমলে যেখানেই গেছে পরিচয় দিয়েছে যে আমার দপ্তর একটি রাজনৈতিক দপ্তর আমি একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান যে যাই অভিযোগ করুক কারো কিছু করার নেই ,দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযানে সারা দেশের মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছে সাথে সাথে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে । এ ব্যাপারে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় সম্পন্ন ও অস্বীকার যান তিনি বলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের কিছু অফিসার আছে তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই সমস্ত অপপ্রচার করছে । তার দপ্তরে দুদকের
অনুসন্ধানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কোন একটা প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে বলে ওনাদের কাছে খবর গেছে তাই ওনারা আমার অফিসে যাচাই-বাছাই করার জন্য এসেছিল যাচাই বাছাই করে কি পেয়েছে না পেয়েছে তা আমি বলতে পারব না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন পরিচালক এই প্রতিবেদককে জানান বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কাজ না করে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীর হস্তক্ষেপে আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে প্রথম দিনে তদন্তে কিছুটা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে পরবর্তীতে আমাদের লোক প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়মের জন্য বারবার সেখানে যাওয়া পড়বে প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী এই সমস্ত অভিযোগে কতটুকু জড়িত তাও তদন্তের মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে তদন্তর সত্যতা মিললে মামলা সহ আইনক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে
আপনার মতামত লিখুন