খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

নিউজ সিক্স

আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ সিক্স

অনলাইন ডেস্ক ।।
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ  সিক্স

আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রিয়া। আজ আমার অষ্টম মঙ্গলা। মনটা আমার বেশ খুশি খুশি এটা কখনোই বলতে পারবো না। না, আপনারা যা ভাবছেন ভুল। আপনারা বলবেন বিয়েটা তো আমি নিজেই নিজের ইচ্ছেয় করেছি তাহলে আপত্তিটা কোথায়?

যেটুক খুশি আমায় দেখছেন সেটা আমি বাপের বাড়ি যাচ্ছি বলে শুধু মনটা খুশি। কিন্তু আগামী পরশু আমি আর আমার বর বাবাজীবন যাচ্ছি প্রথমবার একসাথে ঘুরতে থুড়ি মধুচন্দ্রিমা যাপনে। তাই এতো চিন্তা। আসলে অভি আমার ফোনে কথা বলছে না ঠিক মতো সেই বিয়ে দিন থেকে। অথচ ওর কথা বিয়েটা আমি করলাম।

ও হ্যাঁ ভুলেই গেছি, আপনাদের সাথে তো আমার বরের এখনো পরিচয় করাইনি। আমার বর বুবাই দা। আমাদের পরিচয় প্রায় সাত বছর হতে চলল। সেই যখন ক্লাস নাইন আমি যাচ্ছিলাম ঝড়ের বেগে সাইকেল চালিয়ে টিউশন পড়তে। তখন আমি সাইকেল চালানোতে ছেলেদেরও হার মানাই। তো সেই ঝড়ের বেগের সাইকেল এ ধাক্কা লাগলো এক শান্ত সৌম্য নিরীহ ছেলের। সেই ছেলেটিই এই আমার পতিদেব মিস্টার মানব মন্ডল। বিদেশে চাকরি করে কিছু পয়সা-করি করে আজ আমাকে বিয়ে করে জীবনে সবচেয়ে বড় কিছু পাওয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করছে।

আজকাল বুবাই হাসতে হাসতে বলে “ধাক্কাটা সেদিন শরীরে লেগেছিল না হৃদয়ে কে জানে”। যাক গে ওর কথা বাদ দিন। তো সেই ঘটনার পর অনেক ওঠানামা আর ভুল বোঝাবুঝি ঠিক বোঝাবুঝির পর আজ আমাদের অষ্টম মঙ্গলা। সে গল্প না হয় আর এক দিন করব। ফিরে আসি আজকের দিনে। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল যে আমি অভি সাথে হানিমুন যাবো পাহাড়ে। আমার এই ‘আপাত শান্ত মনের দুরন্ত’ বর কে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো।

কিন্তু অভি ফোন ধরছে না কেন? ও বলেছিলো দার্জিলিং যে হোটেলটা ও বুকিং করেছে সেটা ওর বিশেষ জানাশোনা। বুবাই এর গল্পটি ওখানে শেষ করে আমি ওর সম্পত্তিতে রাজ করবো। আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন মনটা মানছে না। একটা মানুষের জীবন শেষ করে দেবো, লোকটা তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।

যাক বাঁচা গেলো আজ আমার জন্মদিন। সারপ্রাইজ হিসেবে একটা দলিল উপহার দিয়েছেন বুবাই আমাকে। লাটাগুড়িতে একটা কটেজ কিনেছেন উনি আমার জন্য হানিমুনে যাবো আমরা ওখানেই। সারাদিন বেশ ভালো কাটলো কিন্তু মন খারাপ হলো বিকাল বেলায়।

আমার আর উনার মামাতো বোন অয়ন্তিকার জন্মদিন এক দিনে বিকালে একটা সারপ্রাইজ পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই আমার জন্য ছিলো আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আর অয়ন্তিকার এঙ্গেজমেন্ট। অথচ আমাদের বিয়েতেই ওদের আলাপ। শিল্পপতির মেয়ে বলে বোধহয় অতো তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে অভি।

বাড়ি ফিরে মনটা কিছুতেই ভালো করতে পারলাম না। শুয়ে পরলাম। উনি বললেন “তোমার মোবাইলটা দেবে একটু একটা গেমস খেলবো। দিয়ে দিলাম।” কি ধরণের মানুষ এই লোকটি কে জানে! কি ধাতুর তৈরি কে জানে? আজ উনি অভি আর আমার ঝগড়াটা দেখেছেন। অভি স্পষ্ট বলেছে, আমি বুবাইকে ঠকিয়েছি তাই ও আমাকে ঠকিয়ে কোনো ভুল করেনি।

সকাল বেলায় উঠে আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আয়ন্তিকাও আসলো আমাদের সাথে। দিনটা ভালো কাটলো। মানে আমি চেষ্টা করলাম সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে। অভি বোধহয় আমাকে কোনদিন ভালোবাসে নি। ও বেশ নির্লিপ্ত। অয়ন্তিকাকে খুশি করতে ব্যাস্ত। আয়ন্তিকা হঠাৎ ঠিক করলো বাইক রেসিং করবে। আমি আপত্তি করলাম ঠিকই কিন্তু বুবাই এর ওপর জোর খাটানোর অধিকার বোধহয় আমার হয়নি এখনো। তাই বেশি জোর ফলাতে চাইলাম না। তবে মনে মনে চাইলাম একটা দিনের জন্যে হিরো হোক সবার চোখে।

কিন্তু রেসিং কোন ফল এলোনা। কারণ অভি এক্সিডেন্ট করলো। সন্ধ্যায় অয়ন্তিকা এলো সাথে এলো চাকর ভাবলারাম। জানতে পারলাম ভ্যাবলারাম আসলে অয়ন্তিকার বন্ধু রাজীব সিনহা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। অভির মোবাইল থেকে, আমার ছাড়াও আরো ছয় সাতটি মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও , ছবি ডিলিট করা হয়েছে। যাদেরকে ও নিয়মিত ব্লাকমেইল করতো। অভি হয়তো বাঁচবে না। বেঁচে গেলেও আইনের হাত থেকে ওর রক্ষা নেই, কারণ ওর ব্লেকমেইলের ভয়ে আত্মাহত্যা করছে অয়ন্তিকার বান্ধবি সোনালী। ওর চলে যেতেই বুবাই একটা গোলাপ ফুল নিয়ে আমাকে উপহার দিলো। আর বললো গোলাপটা তুলতে গিয়ে সে নাকি অনেক গুলো কাটার আঘাত পেয়েছেন। সেটা দেখালো। আমি জিজ্ঞেস করলাম “আপনি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসেন”

ও বললো ” তোমার জন্য আমি জীবন দিতে পারি ,আবার নিতেও পারি।”

আমার চোখে জল এসে গেলো।

ঝড়-বৃষ্টিতে পথে ঘাটে

স্টাফ রিপোর্টার হাসান আহমেদ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ
   
ঝড়-বৃষ্টিতে পথে ঘাটে

বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বজ্রপাত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই কিছুটা সাবধানে থাকাই ভালো। এছাড়া মেঘ ডাকা, বিদ্যুৎ চমকানো, বাজ পড়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, সেগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরি। নাহলে যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বিপদ।তাই আসুন জেনে নিই ঝড়-বৃষ্টিতে আটকা পড়লে নিজেকে নিরাপদ রাখতে যা করবেন –

১.নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করুন
ঝড়-বৃষ্টির সময় রাস্তায় আটকা পড়লে ঘাবড়ে যাবেন না। ঝড়ের সময় অযথা দৌড়াদৌড়িও করবেন না। কিংবা দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে ঝড় থামা পর্যন্ত নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. গাড়িতে থাকলে
বৃষ্টি বা ঝড়ের সময় গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। বরং এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

৩.বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে দূরে থাকুন
রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তবে তার আশপাশে যাবেন না। কেননা সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪.গাছের নিচে দাঁড়াবেন না
ঝড়-বৃষ্টির সময় গাছ উপড়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ঝড়ের সময় গাছের আশেপাশে না থাকাই ভালো। এছাড়া বড় গাছ বিদ্যুৎকে আকর্ষণ করে। ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।

৫.ধাতব কাঠামোর ছাউনির নিচে আশ্রয় নয়
ঝড়-বৃষ্টির সময় ধাতব কাঠামোর ওপর বানানো কোনো ছাউনির নিচে আশ্রয় নেবেন না। কেননা ঝড়বৃষ্টির সময় এ ধরনের ধাতব কাঠামো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

৬.জলাশয়ে অবস্থান করবেন না
ঝড় বা বৃষ্টির সময় পুকুর, খাল, নদী বা জলাশয়ে অবস্থান করবেন না। কারণ, এসব জলাশয়ে বজ্রপাত হলে পুরো জলাশয়টি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে।

৭.ভাঙা বা নির্মাণাধীন বাড়ি এড়িয়ে চলুন
ঝড়-বৃষ্টির সময় ভাঙা বা নির্মাণাধীন বাড়ির নিচে দাঁড়াবেন না। পুরনো দেয়ালের পাশে দাঁড়ানোও ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা দেয়াল ভেঙে ঘটতে পারে অঘটন। কিংবা ঝড়ে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে কোনও ভারী বস্তু পড়তে পারে।

বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
   
বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি

বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই সময় একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘নড়িয়া পৌর এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি আছে। সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির দুটি পক্ষই তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেনি।’’

চট্টগ্রামের সাবেক বন কমকর্তা খুসরু আমিন এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

ক্রাইম রিপোর্টার আলতাফ চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
   
চট্টগ্রামের সাবেক বন কমকর্তা খুসরু আমিন  এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অবশেষে চট্টগ্রাম সাবেক ফরেস্টার, স্টেশন কর্মকর্তা, ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন, কুমিরা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এ থাকাকালীন কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে   জনাব মোঃ খসরুল আমিন এর বিরুদ্ধে এমনটা আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে

বনের গাছ গিলে খাচ্ছেন ফরেস্টার খসরু আমিন   অবৈধভাবে গড়ে উঠা করাতকলগুলো। সহযোগিতা করছেন বন বিভাগের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা  কর্মচারীরা। এভাবে চলতে থাকলে উজাড় হয়ে যাবে সংরক্ষিত বন বাগান। বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে এগুলো। এসব করাতকলে উজাড় হচ্ছে বনের গাছ। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রেঞ্জ অফিস ও বিট অফিসের নাকের ডগায় মালিকরা করাতকল স্থাপন করে দিনরাত চোরাই কাঠ চেরাই করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা, বিট কর্মকর্তা ও ফরেস্ট গার্ডদের সহযোগিতায় দিনের পর দিন এসব করাতকল চালু রয়েছে। এসব করাতকল ও অতিরিক্ত গাছ চুরির কারণে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকার বাগান ধংস হয়ে যাচ্ছে। করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান না থাকায় অনুমোদনহীন এসব অবৈধ করাতকলের মাধ্যমে বেপরোয়াভাবে চলছে বৃক্ষ নিধন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগের আইনে বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে করাতকল স্থাপন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও অবাধে চলছে এগুলো।

সংরক্ষিত সামাজিক বনায়নের ভিতর, বনঘেঁষে, এমনকি বন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের কাছেই স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ করাতকল। সেখানে গাছ চোর ও কাঠ ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে চেরাচ্ছে বনের গাছ। ফলে উজাড় হচ্ছে বন। এতে সংকটে পড়ছে বন্যপ্রাণী।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে