খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

ছয় মাসে ১৬টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
ছয় মাসে ১৬টি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

নানা ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক কোনো কার্যক্রম শুরু করিনি।

রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য দল গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জন-অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান ইসমাইল সম্রাট। এই দলটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আত্মপ্রকাশ করে। ইসমাইল সম্রাট বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে বড় একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরে গেছে, সেহেতু রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমরা সেই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য আমাদের দল ঘোষণা করেছি।

নতুন দল হিসেবে রাজনীতির মাঠে কিছু ক্রিয়াশীল রয়েছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। সার্বভৌমত্ব আন্দোলন গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে। দলটি প্রাথমিক পর্যায়ে সাতজনকে উপদেষ্টা করেছে। তারা হলেন কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান, সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, হেলাল উদ্দিন, ফজলুল সাত্তার, ড. মেজর (অব.) সিদ্দিক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) তোফায়েল ও এআইজি (অব.) মালেক খসরু। এ ছাড়া ১০ জনকে সংগঠক ও ৮৩ জনকে সহসংগঠক করা হয়েছে।

আগামী নির্বাচনে ‘সার্বভৌমত্ব আন্দোলন’ থেকে ৫০ জনের বেশি প্রার্থী অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠক শ্মশান ঠাকুর। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দুটি সেল এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য কাজ করছে। তবে কোন দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আমরা নির্বাচন করব সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তবে দলটির ভবিষ্যৎ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের অন্যতম উপদেষ্টা সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী।

তিনি বলেন, আমরা আত্মপ্রকাশ করার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সাধারণ মানুষের কিছু সমস্যা নিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করি। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও বিডিআর সদস্যদের নিয়েও আমরা কিছু কার্যক্রম চালিয়েছি। এই মুহূর্তে চিন্তা করছি যে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন যদি আরেকটু ছড়িয়ে পড়ে তখন আমরা দেখব এর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে।

ছাত্র-জনতার সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। দলটি মুসলিম জাতীয়তাবাদী নতুন ধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে আত্মপ্রকাশ করে। খোমেনী এহসানকে আহবায়ক ও হাসান আরিফকে সদস্যসচিব করে ৭৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে দলটি।

দলের কার্যক্রমের বিষয় জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যসচিব হাসান আরিফ বলেন, আমরা আমাদের ১১ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে আমরা লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করছি। এর পাশাপাশি আমরা ছাত্র-জনতার সব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অবস্থান করছি।

প্রথম আত্মপ্রকাশ নিউক্লিয়াস পার্টির:
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১৮ দিন পর ২৩ আগস্ট প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ‘নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ (এনপিবি)’। দলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আত্মপ্রকাশ করে। সেদিন দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আহবায়ক হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সিদ্দিক হোসাইন। এ ছাড়া অপরাধ বিশেষজ্ঞ এসএসডি জিদানকে সদস্যসচিব এবং ইফতেখার আহমেদ খানকে দলটির মুখপাত্র করা হয়।

গত বছর আরো পাঁচটি দলের আত্মপ্রকাশ:
নিউক্লিয়াস পার্টি অব বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশের ১৬ দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে এস এম শাহাদাতের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি। ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে সাইফুল আলমকে মহাসচিব এবং মীর আমির হোসেন আমুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। জানা যায়, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির নেতাকর্মীরা জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) থেকে বের হয়ে এই দল গঠন করেছেন।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি (বিপিপি)’। গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রত্যয় নিয়ে দলটির আহবায়ক করা হয়েছে মো. সিরাজুল ইসলাম ও যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে মো. বকুল হোসেন হৃদয়কে।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)’ নামে আরো একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এক অনুষ্ঠানে দলটির ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। লন্ডনপ্রবাসী মো. সোহেল রানাকে দলটির আহবায়ক করা হয়।

২৮ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।’ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে দলটি। পরে কণ্ঠভোটে প্রকৌশলী ইকরামুল খান চেয়ারম্যান ও আবুল কালাম আজাদ মহাসচিব নির্বাচিত হন।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি)’ নামের আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই নতুন দলে গোপালগঞ্জ জেলার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ চৌধুরীকে আহবায়ক করা হয়।

চলতি বছর আরও তিনটি দলের আত্মপ্রকাশ:
গত ৪ জানুয়ারি ‘দেশ জনতা পাটির’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশের পর দলটির তরফ থেকে ১০৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন দলের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির। মো. নূর হাকিমকে দলটির চেয়ারম্যান ও ইদ্রিস আলী নান্টুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

গত ২৮ জানুয়ারি মেজর জেনারেল (অব.) মো. এহতেশাম উল হকের নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি’ নামের আরেকটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘নতুন সমাজ সমৃদ্ধ দেশ, হোক জনগণের বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’ নামে আরেকটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। ওই দিন সংবাদ সম্মেলন করে দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা করেন দলটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. বিভূতি রায়।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার নেতৃত্বে নতুন দল: ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ মুক্তির ডাক ৭১’ নামে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছাত্রলীগের মতোই লোগো নিয়ে গোপনীয়তার সঙ্গে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে দলটির উন্মোচন ঘটে। আল রিয়াদ-আদনান অন্তরকে সংগঠনের চেয়ারম্যান ও খলিলুল্লাহ গাজীকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া হুমায়ুন কবির নামে একজনকে দলটির মুখপাত্র করা হয়।

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
   
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন ও সদরের সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
   
চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও সদরের  সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের   সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম  ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নাজির আহাম্মেদ  রিপন এর বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নাজির আহমেদ রিপন  । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম এর   কাছে  থেকে মাসিক মোটা অংকের দক্ষিণা পেয়ে থাকেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো
কাজই হয়না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম   হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমূদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।৷ অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সবমিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন।
নির্ভরযোগ্য  অনুসন্ধান সূত্রে ,জানা গেছে  সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল  ইসলাম  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার ফিফটি পার্সেন্ট  জেলা রেজিস্ট্রার কে দিতে হয় এবং কিছু  অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে  পারবেনা। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।

এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার  এবং  কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে তার কথিত সহকারী জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ম্যানেজ করে এইসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালান।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের সাথে

যুক্তরাজ্যের উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার-পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, হতাহত ৩০

ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
যুক্তরাজ্যের উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার-পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, হতাহত ৩০

যুক্তরাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার এবং একটি পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষে উভয় জাহাজেই আগুন লেগে গেছে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৩২ জনকে হতহাত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে

সোমবার (১০ মার্চ) ব্রিটিশ মেরিটাইম অ্যান্ড কোস্টগার্ড এজেন্সির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পূর্ব ইয়র্কশায়ার কাউন্টির উপকূলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ মিডিয়ায় ঘটনাস্থলের ফুটেজে কালো ধোঁয়া এবং আগুনের বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে। গ্রিমসবি ইস্ট বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বয়ার্স বলেন, কমপক্ষে ৩২ জন হতাহতকে তীরে আনা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

জরুরি প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন জানিয়েছে, অনেক লোক জাহাজ থেকে বেড়িয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে তিনটি লাইফবোট অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে কাজ করছে।

সুইডিশ ট্যাঙ্কার কোম্পানি স্টেনা বাল্ক নিশ্চিত করেছে, দুর্ঘটনায় জড়িত তেল ট্যাঙ্কারটির মালিকানা তাদের। এটি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি সামুদ্রিক কোম্পানি পরিচালনা করে আসছে।