খুঁজুন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

বন বিভাগের অপরিমেয় উদাসীনতা ও ঘুষ বাণিজ্যের শেষ নেই

ক্রাইম রিপোর্টার চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
বন বিভাগের অপরিমেয় উদাসীনতা ও ঘুষ বাণিজ্যের শেষ নেই

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে উপ বন সংরক্ষক  বিভাগীয়  বন কমকর্তা চট্টগ্রাম  উত্তর বন বিভাগপ   দায়িত্বে আছেন এসএম কায়চার এবং সহকারী বন সংরক্ষক  করেরহাট ও নারায়ণ হাট চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ  ও সহকারী বন সংরক্ষক  সদর চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে দায়িত্ব আছেন  মোঃ জয়নাল আবেদীন  ও সহকারী বন সংরক্ষক   রেঞ্জ কর্মকর্তা নারায়ণহাট রেঞ্জ দায়িত্বে আছেন খান  মোঃ আবরারুর রহমান  ও ফরেস্ট রেঞ্জার  রেঞ্জ  কর্মকর্তা শহর রেঞ্জ  চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ দায়িত্ব আছেন  মোঃ বাচ্চু  মিয়া

এসব বন বিভাগের সফলতা ও ব্যর্থতার দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে তাদের  উপরেই বর্তায়। বন বিভাগের মূল কাজ বন-বাগান সৃজন, বন রক্ষা। কিন্তু এই বন বিভাগে  বিরুদ্ধে প্রতিটি স্তরে অনিয়ম-দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্য, কাঠ পাচার, পাচারকৃত কাঠ উদ্ধারে চরম অবহেলা ও ব্যর্থতার অভিযোগের শেষ নেই এই সেক্টরে

 

এতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামে  উত্তর  বনাঞ্চল আজ হুমকির সম্মুখীন, শুধু কাঠ আর কাঠ পাচার হচ্ছে অবাধে, অবৈধ কাঠে সয়লাব চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো। যে পয়েন্টগুলোতে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার কাঠ বাণিজ্য হয়ে থাকে।

কিন্তু—এই  সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ নির্বিচারে কেটে চট্টগ্রাম হয়ে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে করে পাচার করা হচ্ছে  এইসব দেখভালের সর্বোচ্চ দায়িত্বরত  আছেন উপ বন সংরক্ষক  বিভাগীয় বন কমকর্তা এসএম  কায়চার  নিজেই। কিন্তু তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের উদাসীনতা ও চোরাই কাঠ পাচারের সিংহভাগ কমিশন প্রাপ্তির কারণে সবকিছুতেই তিনি নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে এসেছে আমাদের অনুসন্ধানে

 সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম উত্তর  বন বিভাগের  প্রতিদিন অবাধে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকার কাঠ। অসাধু  বন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাঠ চোর সিন্ডিকেটের যোগসাজশে দিনরাত পাচার হয় এসব কাঠ। কাঠ পাচারে দৈনিক অবৈধ লেনদেন প্রায় লাখ টাকা। এভাবে প্রতিমাসে অন্তত ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বন কমকর্তারা

অভিযোগ উঠেছে, মাসিক মাসোহারায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন চট্টগ্রাম উত্তর  বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ   অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান,  অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সহজেই হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।

তথ্য সূত্র জানা যায়–চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় বেশ কয়েকটি চোরা পয়েন্ট রয়েছে, যেসব পয়েন্টে অবৈধ কাঠে সয়লাব থাকে সারাক্ষণ। প্রতিরাত এসব পয়েন্টে পার্বত্য অঞ্চলের  বিভিন্ন স্থান হতে কাঠ ভর্তি ট্রাক আনলোড করা হয়। এসব কাঠের সঠিক কোন বৈধ কাগজ পত্র থাকে না  অবৈধ কাঠগুলি যেখানে ট্রাকে আনলোড করা হয় সেখানকার সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাকে গাড়ী প্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। আর সড়কে যেসব স্থানে ফরেস্ট চেক ষ্টেশন শুল্ক   রয়েছে সেসব ফরেস্ট চেক স্টেশনে গাড়ীপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন বন কমকর্তারা  চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাক হতে কাঠ আনলোড করা হয়।

 

 

কাঠ ভর্তি খোলা ট্রাক চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করার পূর্বেই চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের অধীন দায়িত্ব    রেঞ্জের রেঞ্জ  কর্মকর্তা  কে রাতেই প্রতি ট্রাক কাঠের জন্য ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। যদি কাঠ ভর্তি ট্রাক ত্রিপল দিয়ে ঢাকা থাকে অথবা কাভার্ড ভ্যান হয় সেক্ষেত্রে প্রতি ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানের জন্য দিতে হয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।

 

এই টাকার ভাগ কমিশন হিসেবে  উপ বন সংরক্ষক  বিভাগীয় বন কর্মকর্তা   এসএম কায়চার  এবং চট্টগ্রাম বন সার্কেলের সহকারী  বন সংরক্ষক পর্যন্ত পৌছায়। শুধু মাত্র ট্রাক বা কাভারভ্যানেই নয়, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রায় শত-শত খোলা জীপ ও পিকআপে অবৈধ গোল কাঠ, রদ্দা, চিরাই সেগুন, গামারী, গর্জন, চাপালিশ, চাম্পাফুল, গোদা, বৈলাম ইত্যাদি মূল্যবান কাঠ এসব পয়েন্টে এসে ‘আনলোড’ হয় অনুসন্ধানে  আরও জানা যায়

পয়েন্টগুলো হলো- চট্টগ্রাম শহরে ঢোঁকার পথে অক্সিজেনের এলাকার বিভিন্ন স’মিল। এসব স’মিলের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরের হালিশহর এক্সেস রোডের মোখছেদুর রহমান (কাজল) সওদাগরের স’মিল। হাজী সুফিয়ানের স’মিল, বজল সওদাগরের স’মিল এবং পতেঙ্গা থানার অন্তর্গত কাঠগড় এলাকায় আব্দুল কাদেরের স’মিল। হালিশহরের সবুজ বাগের বিভিন্ন স’মিল, ফিরিঙ্গি বাজার চেয়ারম্যান ঘাটা রোডের জনতা স’মিল, বাংলাদেশ স’মিল।

এদিকে—কাপ্তাই রাস্তার মাথা হতে কালুরঘাট ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বে কমপক্ষে ২০টি স’মিল রয়েছে। বহাদ্দরহাট হতে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পার্শ্বের অবৈধ কাঠের দোকান ও দোকানের গোডাউন সমূহ এবং স’মিল সমূহে প্রচুর অবৈধ মূল্যবান কাঠ অবৈধ ভাবে এসে জমা হয় এবং

অনিয়ম-দুর্নীতি ও কাঠ পাচারের বিষয়ে    চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন  কর্মকর্তা   সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন কাঠ পাচার সিএফ করে না। জীবনে কোন দিন দুর্নীতি করেনি, এগুলো ডিএপো’রা কন্ট্রোল করে, আমার রোলস অব বিজনেস আমি জানি, আমাকে কেউ কোন দিন চা খাওয়াতে পারেনি। দুই নম্বরি ৫ নম্বরি সব -দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএপো’রা করে। আপনি লিখতে পারেন, আমি হানড্রেড পার্সেন্ট না, আমি দুইশ পার্সেন্ট সৎ  বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে