খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

পল্টিবাজ বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

অনুসন্ধান সিরিজ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ অপরাহ্ণ
পল্টিবাজ বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

ভয়াবহ পোস্টিং বাণিজ্যে চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন অধিদপ্তরে মাঠপর্যায়ের বনকর্মীরা। বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫-১৬ বছর সুবিধাভোগী বন কর্মকর্তা। বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের পদে (সিএফ) আছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৩ সালে নিয়োগ পাওয়া এই মোল্যা রেজাউল করিম গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামে সিএফ (বন সংরক্ষক) পদে পদায়ন পান। এর আগে বন প্রতিমন্ত্রী হাবিবুন্নাহারকে মা ডেকে পতিত সরকারের আমলে বিভিন্ন লোভনীয় জায়গায় কর্মরত থেকে ব্যাপক সুবিধা ভোগ ও অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ।

মাঠ পর্যায়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতি নিম্নস্তরের (ফরেস্টগার্ড ও ফরেস্টার) কর্মকর্তাদের অঘোষিত ক্যাশিয়ার নিয়োগ করা হয়। এসব ক্যাশিয়ারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন তার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন একাডেমিতে চাকরি করা ফরেস্টার মো. আবদুল হামিদ। এ নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে বন অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।

অব্যাহতভাবে নানামুখী অনিয়ম, পোস্টিং বাণিজ্যের ফলে বন বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বদলি, পদায়নের নিয়মনীতি উপেক্ষিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন বিভাগের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন অঞ্চলে পোস্টিং বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্যাশিয়ার প্রথা চালু নিয়ে পুরো বন সার্কেলেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ‘কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত’ পরিচয় বহনকারী এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বনবিভাগের কর্মচারীরা পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের দুর্নীতি স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতিকেও হার মানাচ্ছে। দুর্নীতিবাজ সিএফ মোল্লা রেজাউল করিমকে বিচারের আওতায় আনার আবেদনও জানানো হয় লিখিত অভিযোগে।

অভিযোগে প্রকাশ, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর মোল্যা রেজাউল করিম সুকৌশলে বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চলের পদটি বাগিয়ে নেন। গত বছরের আগস্ট মাসে তার বদলি হলেও ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিএফ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে বনবিভাগে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, মোল্লা রেজাউল করিম বন বিভাগে চাকরির আগে সমবায় অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। সেখানে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকরি ছাড়েন। রাজশাহী বনবিভাগে ডিএফওর দায়িত্ব পালনকালে সরকারি গাড়ির মিটার রিডিং পরিবর্তন করে তেলের টাকা আত্মসাতের ঘটনাও বনবিভাগের লোকের মুখে মুখে।

গত ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগ কোটায় ২২তম বিসিএসের মাধ্যমে বন বিভাগে তার আগমন ঘটে। প্রথম দায়িত্ব হিসাবে পান রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কাপ্তাই রেঞ্জে। কাপ্তাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় শুরু হয় তার দুর্নীতি। তৎকালীন কাপ্তাই রেঞ্জের অধিকাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সেগুন গাছ পাচার হয় মোল্যা রেজাউল করিমের প্রশিক্ষণকালীন।

অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন কাপ্তাই এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী বন সংরক্ষক শাহাবুদ্দিন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোল রেজাউলের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করায় সহকারী বন সংরক্ষকের জীবন ঝুঁকিতে পড়ারও নজির রয়েছে।সংরক্ষিত বন ধ্বংস করে টাকার পাহাড় গড়েন মোল্যা। শুরু হয় মোল্যার দুর্নীতি আর পোস্টিং বাণিজ্যের কারবার। ফেনী ডিভিশনে দায়িত্বে থাকাকালীন বাগান সৃজন ও ইকোপার্ক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করায় তৎকালীন সিসিএফ ইউনুস এই মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দাখিল এবং চাকরিচ্যুতির প্রস্তাবও দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে তিনি পার পেয়ে যান।

আওয়ামী সরকারের সাবেক বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদের পৃষ্ঠপোষকতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মন্ত্রণালয় থেকে সেই চাকরিচ্যুতির প্রস্তাব গায়েব করেন এই মোল্যা।

সূত্র বলছে, বাগেরহাট ডিভিশনের দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের সাবেক বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মাধ্যমে পিরোজপুর এলাকায় ইকোপার্ক করার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে কোটি কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা ও আত্মসাৎ করেন। এই কাজের বড় একটা অংশ সাবেক বনমন্ত্রীর স্ত্রীকেও দেওয়া হয়। যার কারণে পরে সাবেক বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রীর অনুরোধে তাকে পুরস্কার হিসেবে বান্দরবানে পাল্পউড বাগান বিভাগে পদায়ন ও বদলি করা হয়। বান্দরবানে যোগদান করে অবৈধ জোত পারমিট প্রদানসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসে মেতে উঠেন। অবৈধ জোত পারমিটের আড়ালে লাখ লাখ ঘনফুট কাঠ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে পাচার করা হয়।

তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ আমলে মোল্যা রেজাউল করিম ঢাকা মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

অভিযোগের তথ্য মতে, বান্দরবান পাল্পউড ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দুর্নীতির টাকা দিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করেন। বাসার আসবাবপত্রসহ দরজা বন্দরবানের সংরক্ষিত বনের কাঠে তৈরি।তথ্য মতে, মোল্যা রেজাউল করিম যশোর সার্কেলে বন সংরক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে বন্দরবানে সহযোগিতাকারী ফরেস্টার মোঃ সিরাজুল ইসলামকে যশোর সার্কেলে বদলি করে নিয়ে যান। সেখানেও সামাজিক বনায়নের লটের কাঠের গড় নিলাম মূল্য কম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। মোল্যা রেজাউল করিম যশোর সার্কেলের সিএফ থাকাকালীন সাবেক বনপ্রতি মন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মা সম্বোধন করতেন। হাবিবুর নাহারকে মা ডাকার সুবাধে মোল্যা রেজাউল করিম সিএফকে বদলি করা হয় সবচেয়ে লাভজনক সার্কেল বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেল ঢাকায়। সেখানে যোগদানের পর বনের জমি বিক্রিসহ নানান অপকর্ম করায় এলাকার অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোল্যা রেজাউল করিমকে বনমন্ত্রী বদলি করতে বাধ্য হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এত অনিয়ম, দুর্নীতি, সুবিধাভোগ করার পরও মোল্যা রেজাউল করিম নিজেকে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন।

তথ্য বলছে, মোল্লা রেজাউল করিম চট্টগ্রাম অঞ্চলে যোগদান করে প্রত্যেক বনবিভাগে মতবিনিময় সভার নামে ঘুষ আদায়ের পদ্ধতিগত সভার অয়োজন করেন। ওই সভাগুলোতে অনেক বনকর্মীকে গালমন্দ করার নজিরও রয়েছে। চট্টগ্রাম সার্কেলের সিএফ হতে ৩ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে ডিভিশনের ডিএফওদেরকে টাকা দিতে  বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকে বিভাগীয় (ডিভিশন) অফিস থেকে টাকা আদায়ের দায়িত্ব পালন করেন ডিএফও আব্দুর রহমান, ডিএফও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদীন, ফরেস্টার আবদুল হামিদ, পদুয়া চেক স্টেশনের ফরেস্টার মামুন মিয়া, সহকারী বন সংরক্ষক শীতল পাল ও ফরেস্টার গাজি শফিউল। প্রাথমিকভাবে প্রতি ডিভিশন থেকে ১ কোটি টাকা মোল্যাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হোসেন ও দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এক কোটি টাকা দেওয়া ও ক্যাশিয়ার নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বনবিভাগের সূত্র একাধিক জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি মোল্যা রেজাউল করিম পোস্টিং বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভিশনে কর্মরত ২৬ জন ফরেস্টার, ৩৭ জন ফরেস্ট গার্ড, ৩১৩ জন নৌকাচালকসহ মোট ৭৬ জনকে বদলি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পোস্টিংয়ের বিষয়ে এবং ক্যাশিয়ার নিয়োগের বিষয়ে আপনারা তদন্ত করেন।

কোনো বাণিজ্য হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিকড় গেড়ে বসে আছে, তারা বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এসেছিল। তারা এখন বিভিন্ন রকমের বিপর্যয়ের মধ্যে আছে, তারা বিগত সরকারের আমলে বিনিয়োগ করে এসে পোস্টিং নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, এখন রাষ্ট্র সংস্কার করা দরকার। অনেক তাজা রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশটাকে ভালোর দিকে নিয়ে গেছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সরকার আমাকে কায়েমি স্বার্থবাদীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি পোস্টিং বাণিজ্য চিরতরে নির্মূল করতে চাই।

বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
   
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন ও সদরের সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
   
চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও সদরের  সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের   সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম  ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নাজির আহাম্মেদ  রিপন এর বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নাজির আহমেদ রিপন  । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম এর   কাছে  থেকে মাসিক মোটা অংকের দক্ষিণা পেয়ে থাকেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো
কাজই হয়না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম   হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমূদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।৷ অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সবমিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন।
নির্ভরযোগ্য  অনুসন্ধান সূত্রে ,জানা গেছে  সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল  ইসলাম  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার ফিফটি পার্সেন্ট  জেলা রেজিস্ট্রার কে দিতে হয় এবং কিছু  অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে  পারবেনা। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।

এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার  এবং  কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে তার কথিত সহকারী জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ম্যানেজ করে এইসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালান।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের সাথে

যুক্তরাজ্যের উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার-পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, হতাহত ৩০

ডিজিটাল নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
   
যুক্তরাজ্যের উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার-পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, হতাহত ৩০

যুক্তরাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে তেল ট্যাঙ্কার এবং একটি পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষে উভয় জাহাজেই আগুন লেগে গেছে। ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৩২ জনকে হতহাত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে

সোমবার (১০ মার্চ) ব্রিটিশ মেরিটাইম অ্যান্ড কোস্টগার্ড এজেন্সির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পূর্ব ইয়র্কশায়ার কাউন্টির উপকূলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ মিডিয়ায় ঘটনাস্থলের ফুটেজে কালো ধোঁয়া এবং আগুনের বিশাল কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে। গ্রিমসবি ইস্ট বন্দরের প্রধান নির্বাহী মার্টিন বয়ার্স বলেন, কমপক্ষে ৩২ জন হতাহতকে তীরে আনা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

জরুরি প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করা রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন জানিয়েছে, অনেক লোক জাহাজ থেকে বেড়িয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে তিনটি লাইফবোট অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে কাজ করছে।

সুইডিশ ট্যাঙ্কার কোম্পানি স্টেনা বাল্ক নিশ্চিত করেছে, দুর্ঘটনায় জড়িত তেল ট্যাঙ্কারটির মালিকানা তাদের। এটি যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক একটি সামুদ্রিক কোম্পানি পরিচালনা করে আসছে।