খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ রাঙামাটি লুটপাট করে খাচ্ছেন পাঁচ জন বন কমকর্তা বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

ক্রাইম রিপোর্টার মাসুদ রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:২৮ অপরাহ্ণ
ঝুম নিয়ন্ত্রণ  বন বিভাগ   রাঙামাটি  লুটপাট করে  খাচ্ছেন পাঁচ জন বন কমকর্তা    বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ  বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পর্যাপ্ত বনজ সম্পদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে ব্রিটিশ   আমল থেকেই৷ তারমধ্যে দেশের সবচেয়ে দামি গাছ সেগুনের অবস্থান অন্যতম, বিশেষ করে সৌখিন,টেকসই ও বিলাসী আসবাবপত্র তৈরীতে সেগুন গাছের জুরি নেই৷ তাই সেগুনের দেশ ও বিদেশে সেগুন গাছের ফানিচারের চাহিদা ব্যাপক৷ সেগুনের চাহিদা বেশী থাকায় এর ব্যবসা পদ্ধতি ও অনেক৷ কিন্তু সেগুন গাছ ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকারী বন বিভাগের যে জোত পারমিট, তাও এখন বিশাল ব্যবসা ক্ষেত্র৷ বন বিভাগের একজন বনপ্রহরী থেকে বিট কর্মকর্তা, ফাঁড়ি রেঞ্জার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, রাঙামাটি প্রধান বন সংরক্ষক, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন মন্ত্রলয়ের কর্মকর্তা সবাই এই ভুয়া পারমিট তৈরী ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগীরা ৷ পার্বত্য অঞ্চলে বাগানে গাছ থাক আর  না থাক টাকা দিলে ভুয়া পারমিট মিলছে প্রতি দিন ৷ রাঙামাটি বন বিভাগে ঘুষ দিলেই মিলে সেগুন গাছের ভুয়া পারমিট

একটি ভুয়া পারমিট প্রক্রিয়া : জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পূর্বে উপজেলা ভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করা হয়৷ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষের টাকা গ্রহণ করে অফিস থেকে জমির তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসক অফিসে প্রেরণ করেন, জেলা প্রশাসক প্রতি পারমিট বাবদ ৫ হাজার টাকা অফিস খরচ বাবদ গ্রহণ করে “এ” ফরম ডিএফও’দের (বিভাগীয় বন কর্মকর্তা) নিকট প্রেরণ করেন৷ ডিএফও উক্ত পারমিট খাড়া মার্কার জন্য সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করেন, রেঞ্জ  কর্মকর্তা জোত ভুমিতে যেতে ৭ থেকে ৮ হাজার ঘুষের টাকা গ্রহণ করে পুরাতন বাগান থেকে তোলা রাজকীয় করে শুধু ছবি তুলে এবং বন প্রহরী বা এফজিদের পাঠায়, এফজি’রা উক্ত ভুমিতে ১০০টি গাছ থাকলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ গাছের খাড়া মার্কা সাইজ লিষ্ট তৈরী করে এবং রেঞ্জ কর্মকর্তা মুল পারমিটের প্রতি ফুট ৬% করে টাকা ঘুষ নিয়ে খাড়া মার্কার লিষ্ট ডিএফও বরাবর প্রেরণ করেন, ডিএফও আবার ৬% করে টাকা ঘুষ নিয়ে নামমাত্র তদন্ত পুর্বক অহরহ ভুয়া পারমিট ইস্যু করেন৷ এখানে কথা থাকে যে একদিনে পারমিট দেখে সেদিনেই তিনি ১০ থেকে ২০ টি গাছ দেখে সঠিক আছে বলে জোত পারমিট ৮% টাকা ঘুষ নিয়ে পারমিট ইস্যু বা কর্তনের অনুমতি দেন৷ এর পুর্বে গাছ কর্তন করে ক্রয়কৃত ব্যক্তি ফিল্ডলিষ্ট সাবমিট করেন৷ রেঞ্জ কর্মকর্তা আবার ৬ হাজার টাকা ফিল্ড খরচ নিয়ে জোত ভুমিতে তদন্তে যান এবং ছবি তুলে প্রতি ঘনফুটে ২০ টাকা নিয়ে “ডি” ফরম ডিএফও’র নিকট প্রেরন করেন, ডিএফও আবার ৩০% টাকা ঘুষ নিয়ে এসিএফ’কে জোত ভুমিতে পাঠায়, এখানেও রেঞ্জ কর্মকর্তা ৭ হাজার টাকা ফিল্ড খরচ নিয়ে এসিএফ’কে জোত ভুমিতে নিয়ে যান, এবং ছবি তুলে প্রতি ঘনফুট ৬% হারে টাকা নিয়ে ডিএফও’কে “ডি” ফরম আবেদন করেন৷ ডিএফও উক্ত আবেদনের প্রেৰিতে প্রতি ঘনফুট ৮% করে নিয়ে “ডি ” ফরম বই ইসু্য করেন৷ এই “ডি” ফরমের অনুকুলে বিভিন্ন জোত হতে কাঠ রাঙামাটি শহরে বিভিন্ন করাত কলে ভারতীয় কাঠ জমা হয়৷ এরপর উক্ত “ডি” ফরমের কাঠ ঢাকা বা দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহনের জন্য চলাচল বা টিপি পাস ইস্যু করে এবং প্রত্যেক সদর রেঞ্জ প্রতি গাড়ীতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহন করে গাড়ী লোড করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করে৷
একজন কাঠ ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ভুয়া পারমিট তৈরীর ও ঘুষ লেন- দেন এর ক্ষেত্রে রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে, যেমন গাড়ী লোড করার পর প্রতি গাড়ীতে স্থানীয় প্রশাসনের জন্য ২০ হাজার টাকা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির ছাড়পত্র দিলে গাড়ীটির টিপি পাওয়া যায়, না হলে রেঞ্জ কর্মকর্তা টিপি দেওয়ার পরও গাড়ীর লোড চেকিং দেন না৷
এতে প্রমান হয় যে, উক্ত পারমিট ভুঁয়াভাবে কাগজে কলমে ইস্যু করা হয়, সেগুলো টাকার বিনিময়ে করা হয়৷
সরেজমিনে  গত ৬মাস অনুসন্ধান করে এই চিত্র দেখা যায়৷ এখানে আরো দৃশ্যমান হয় যে, রাঙামাটি জেলায় ১ হাজার ঘনফুট কাঠের পারমিট ছাড়পত্র দেওয়ার মত বাগানই নেই, সেখানে ১০ হাজার ১২ হাজার ঘনফুটের পারমিট ইস্যু করা হয় এবং ভুয়া আইডি তৈরী করে ভারতীয় কাঠ পাচার করা হয়৷
সংক্ষিপ্ত টহলের মাধ্যমে  একমাসে ভুয়া ও কাগজপত্র বিহীন হাজার হাজার ঘনফুট ভারতীয় সেগুন কাঠ জব্দ করেছে ২৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) এর জোয়ানরা৷
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা থেকে নামে বেনামে ভুয়া পারমিট ইস্যু করা হয়, সেসব কাঠ ভারতের মিজুরাম থেকে ডেঠামুখ হয়ে বড় হরিনা, ছোট হরিনা ও বরকল হয়ে রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করে চলে যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়৷
বর্তমানে কয়েক সাপ্তাহ ধরে রাঙামাটি বন সার্কেল থেকে সকল ধরনের ঘুষ বানিজ্য হচ্ছে

প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার সাথে রাঙামাটি শহরের মানিকছড়ি থেকে ঘাগড়া হয়ে চোরাই কাঠ পাচার হচ্ছে
পরিবেশবিদ ও অভিজ্ঞ মহল মনে করে রাঙামাটি বন সার্কেল থেকে বিগত ৬মাস ধরে যে সব কাঠের পারমিট ইস্যু করা হয়েছে সেসব আগে তদন্ত করা হোক ৷ তাহলেই বন বিভাগের ঘুষ লেন-দেন এর থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে৷ এলাকাবাসীর জোর দাবী  জানিয়েছেন তারা, তার পর নতুন জোত পারমিট ইস্যু করা যেতে পারে৷
উল্লেখ্য, ভুয়া পারমিট ইস্যু, চোরাই পথে কাঠ পাচার ও ঘুষ দাতাদের পদচারনায় রাঙামাটি সার্কেল বিরুদ্ধে দুর্নীতি শেষ নেই

ঝুম নিয়ন্ত্রণ   বন বিভাগ রাঙামাটির  বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগে  জানা গেছে রাঙামাটি   বন বিভাগ   যেন গভীর বনের মতোই অন্ধকারে নির্যাতিত  হয়ে পড়ছে। এই সেক্টরে দুর্নীতি ও লুটপাট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা সহজে প্রকাশ পায় না  প্রকল্প কিংবা রাজস্ব খাতের বরাদ্দের টাকা কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে লাখ  লাখ  টাকা ঘুষের মাধ্যমে  আত্মসাৎ করা হয়েছে    সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলেও কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারির কারণে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না। স্বয়ং দেশের ও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে দুর্নীতি বন্ধে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কোনো কিছুতেই কাজে আসছে না। উন্নয়ন প্রশংসিত হলেও দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে সুশাসন আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সর্বপ্রথম  ঝুম নিয়ন্ত্রণ  বন বিভাগ রাঙামাটি কে   বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে বন  অধিদপ্তরের অভাবনীয় সাফল্য আজ ম্লান হতে চলেছে কিছুসংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য এক জন  এস, এম, মাহবুব উল আলম,রেঞ্জ কর্মকর্তা,উল্টাছড়ি রেঞ্জঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি।

এবং দ্বিতীয়  ব্যক্তি   বাবু রাম চাকমা রেঞ্জ কর্মকর্তা,ফুল গাজী রেঞ্জ ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি এবং তৃতীয়  ব্যক্তি  মোঃ আবদুল গফুর খান চৌধুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা,খাসখালী রেঞ্জঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি। চতুর্থ ব্যক্তি  মোঃ নজরুল ইসলাম রেঞ্জ কর্মকর্তা,মেরুং রেঞ্জঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি।পঞ্চম ব্যক্তি  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রেঞ্জ কর্মকর্তা,হাজা ছড়ি রেঞ্জ ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি

এই পাঁচ   জন      দুর্নীতিবাজ  বন  কমকর্তা     অবৈধ অর্থের জোরে একটি বিশেষ মহলকে ‘খুশি’ করে সম্প্রতি  ঝুম নিয়ন্ত্রণ   রাঙামাটি    বন বিভাগে  পোস্টিং নিয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের এ কর্মচারি তার পদ-পদবীর অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। এবং তাদের   বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকেন তাঁরা  এ ঘটনায় জেলার বনকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন রাঙামাটি   এলাকাবাসীর জোর দাবি  সঠিক  ভাবে তদন্ত করলেই  থলের   বিড়াল বেরিয়ে  আসবে বিস্তারিত আরও জানতে দৈনিক  সকাল বেলা   পত্রিকা  তে চোখ রাখুন এবং  সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ উন্মোচন  করতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে

মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
   
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা জান্তা সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারেন রাজ্যের হপা-আন জেলার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সামরিক বাহিনীর ‘পুলুতু ঘাঁটি’ দখল করে নেয় কেএনএলএ।

কারেন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় এক মাস ধরে লড়াইয়ের পর আজ ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। সেখানে শাসকগোষ্ঠীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩১-এর সৈন্যরা অবস্থান করছিল।

কেএনএলএ ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডারের বরাত দিয়ে কারেন ইনফরমেশন সেন্টার (কেআইসি) জানিয়েছে, অভিযানের সময় দুই জান্তা সেনা নিহত এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

কেএনএলএ কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগের সংঘর্ষে কেএনএলএ স্নাইপাররা পুলুতু ঘাঁটির ছয় জন শাসক সৈন্যকে হত্যা করেছিল।

থাই মিডিয়া আউটলেট দ্য রিপোর্টার্সের মতে, শুক্রবারের প্রতিরোধ হামলা থেকে পালিয়ে আসা শাসক সৈন্যদের আটক করে থাই সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের যে কোনো লঙ্ঘন রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কেএনএলএ এবং তার মিত্রদের প্রায় ১০০ জন সৈন্যের একটি বাহিনী মন রাজ্যের বেলিন টাউনশিপে জান্তার কৌশলগত মে পাল ঘাঁটি দখল করে। সেসময় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ২৯ জন সৈন্যকে বন্দী করা হয়। কেএনইউ জানিয়েছে, ঘাঁটির জন্য লড়াইয়ের সময় নিহত ২৯ জন শাসক বাহিনীর মধ্যে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।

২০২১ সালে জান্তা সেনারা দেশব্যাপী শত শত শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পর থেকে কারেন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনটি কয়েক হাজার শাসনবিরোধী নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে।

বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পাশাপাশি কেএনইউ-এর সশস্ত্র শাখাগুলো কারেন ও মন রাজ্য, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চলে, পাশাপাশি জান্তার প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে লড়াই করছে।

জান্তা কেএনইউ-অধিকৃত অঞ্চলে বেশিরভাগ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালানোর জন্য ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এর ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
   
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন ও সদরের সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
   
চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও সদরের  সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের   সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম  ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নাজির আহাম্মেদ  রিপন এর বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নাজির আহমেদ রিপন  । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম এর   কাছে  থেকে মাসিক মোটা অংকের দক্ষিণা পেয়ে থাকেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো
কাজই হয়না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম   হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমূদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।৷ অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সবমিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন।
নির্ভরযোগ্য  অনুসন্ধান সূত্রে ,জানা গেছে  সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল  ইসলাম  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার ফিফটি পার্সেন্ট  জেলা রেজিস্ট্রার কে দিতে হয় এবং কিছু  অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে  পারবেনা। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।

এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার  এবং  কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে তার কথিত সহকারী জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ম্যানেজ করে এইসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালান।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের সাথে