খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

 রংপুরের কানুনগো মোঃ আবুল কালাম আজাদ নামে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে 

রংপুর প্রতিনিধি আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
 রংপুরের কানুনগো মোঃ আবুল কালাম আজাদ নামে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে 

 

 প্রতিবাদী জনতার চাপের মুখে ঘুষের টাকা ফেরত দেন উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াজমিন। গতকাল সকালে উপজেলা ভুমি অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়,উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ ১০টি ইউনিয়নের জনসাধারণ জমি সংক্রান্ত কাজে উপজেলা ভুমি অফিসে আসেন। তাদের মধ্যে সহজ সরল কৃষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ও দুই এক দিনের মধ্যে কাজ করে দেওয়ার  আশ্বাস দিয়ে টেবিল প্রতি ৫হাজার থেকে ৩০হাজার টাকা দিতে হবে কারণ টাকা টা  কানুনগো মোঃ আবুল কালাম আজাদ  কে দিয়ে কাজ টা করাতে হবে এমন কথা বলে টাকা    নেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ঘুষ নেওয়ার আগে বলেছিলেন   মাসের পর মাস ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পিছেনে ধর্না দেন ভুক্তভুগীরা। এমতাবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে এসিল্যান্ডটের কাছে ভুক্তভোগীদের কেউ অভিযোগ করতে চাইলেও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পালিত সন্ত্রাসী ও দালাল চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। ভুমি অফিসের ঘুষখোর কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মি নিরিহ জনসাধারণ। নাম গোপন রাখার শর্তে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে গতকাল সকালে সরেজমিনে উপজেলা ভুমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াসমিনের অফিস কক্ষে তার সাথে সাহেবগঞ্জ এলাকার বাবুল মন্ডল নামে একজন সাধারন কৃষকের তর্কবিতর্ক চলছে। উপজেলা ভুমি সার্ভেয়ার কর্মকর্তা শাসিয়ে ওই কৃষককে বলছেন,উপজেলার সব নেতা আমার হাতের মুঠোয়, আপনার কি করার আছে করেন,টাকা ফেরত দিতে পারবোনা। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার কক্ষে প্রবেশ করার পর তিনি জড়োসড়ো বয়ে বসেন। কি নিয়ে তর্ক প্রশ্ন করলে ভুক্তভোগী কৃষক বাবলু মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন,নামজারি কাজে তিনি কানুনগো মোঃ আবুল কালাম আজাদ কে দিয়ে কাজ টা করালে দ্রুত কাজটা হয়ে যাবে  এমন কথা বলছেন কিন্তু এখন তো  বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৩০হাজার টাকা নিয়েও কাজ করে দেননি। অথর্চ্য নামজারি বাবদ সরকারি ফ্রি ১১৭০টাকা নির্ধারিত থাকার পর কেন এতো টাকা নেওয়া হয়েছে জিজ্ঞেসা করলে সার্ভেয়ার কোন উত্তর দিতে পারেনি। এক পর্যায়ে সাভেয়ার ঘুষ নেওয়ার কথা শিকার    করে এবং বলেন টাকা কি আমি নিয়েছি টাকা টা কানুনগো মোঃ আবুল কালাম আজাদ কে দিয়েছি কাজ টা করে দেওয়ার জন্য কিছু টাকা আমি নিজেও রেখেছি এবং   চাপের মুখে তিনি ভুক্তভোগী কে ৩০ হাজারের মধ্যে নগত ৪হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের সময় নেন। এ খবর পৌর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুক্তভুগিরা ভুমি অফিসে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় সার্ভেয়ার সাবিনার মতো ভুমি অফিসের অন্যঅন্য ঘুষখোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভুক্তভুগীদের ভয়ে সটকে পড়েন। ভুমি অফিসে শতশত মানুষের কাছ থেকে কানুনগো কথা বলে  ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভুগিদের মধ্যে স্বপন চন্দ্র বলেন,মিস কেস বাবদ তার কাছ থেকে ৩হাজার টাকা নিয়েছেন,। ফেরদৌস রহমান সাজু বলেন,এসিল্যান্ড ছাড়া ওই অফিসের সব দুর্নীতিবাজ। ,মাইদুল ইসলাম বলেন,পুরো অফিসটাই দুর্নীতির আখড়া,। রেজাউল শাহ বলেন, আমার মিসকেস ২১/১৮-১৯ তিন বছর ধরে ঘুরতেছি টাকা দেই না বলে কাজ হয় না । মনির শাহ ফিরোজ বলেন,ওই ভদ্রমহিলা ঘুষ নেওয়ার পরও জনসাধারণের সঙ্গে প্রায় খারাপ আচরণ করেন। ঘুষ নেওয়ার প্রসঙ্গে উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াসমিন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মির্থ্যা বলে দাবী করে তিনি বলেন, একটা সমস্যা হয়েছিল টাকা ফেরত দিয়েছি আর কেউ আমার সামনে দাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা বলতে পারবে না। আগামীকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস পালিত হবে। দুর্নীতি দিবসের মাস ডিসেম্বর মাস। এ উপলক্ষে জেলা ও বিভাগ সহ উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের সরেজমিনে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হবে। আজ দুর্নীতির পর্ব এক প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড চিকিৎসার কাজে দেশের বাহিরে থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদকে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন 

মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
   
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা জান্তা সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারেন রাজ্যের হপা-আন জেলার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সামরিক বাহিনীর ‘পুলুতু ঘাঁটি’ দখল করে নেয় কেএনএলএ।

কারেন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় এক মাস ধরে লড়াইয়ের পর আজ ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। সেখানে শাসকগোষ্ঠীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩১-এর সৈন্যরা অবস্থান করছিল।

কেএনএলএ ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডারের বরাত দিয়ে কারেন ইনফরমেশন সেন্টার (কেআইসি) জানিয়েছে, অভিযানের সময় দুই জান্তা সেনা নিহত এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

কেএনএলএ কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগের সংঘর্ষে কেএনএলএ স্নাইপাররা পুলুতু ঘাঁটির ছয় জন শাসক সৈন্যকে হত্যা করেছিল।

থাই মিডিয়া আউটলেট দ্য রিপোর্টার্সের মতে, শুক্রবারের প্রতিরোধ হামলা থেকে পালিয়ে আসা শাসক সৈন্যদের আটক করে থাই সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের যে কোনো লঙ্ঘন রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কেএনএলএ এবং তার মিত্রদের প্রায় ১০০ জন সৈন্যের একটি বাহিনী মন রাজ্যের বেলিন টাউনশিপে জান্তার কৌশলগত মে পাল ঘাঁটি দখল করে। সেসময় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ২৯ জন সৈন্যকে বন্দী করা হয়। কেএনইউ জানিয়েছে, ঘাঁটির জন্য লড়াইয়ের সময় নিহত ২৯ জন শাসক বাহিনীর মধ্যে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।

২০২১ সালে জান্তা সেনারা দেশব্যাপী শত শত শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পর থেকে কারেন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনটি কয়েক হাজার শাসনবিরোধী নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে।

বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পাশাপাশি কেএনইউ-এর সশস্ত্র শাখাগুলো কারেন ও মন রাজ্য, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চলে, পাশাপাশি জান্তার প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে লড়াই করছে।

জান্তা কেএনইউ-অধিকৃত অঞ্চলে বেশিরভাগ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালানোর জন্য ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এর ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
   
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন ও সদরের সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
   
চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও সদরের  সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের   সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম  ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নাজির আহাম্মেদ  রিপন এর বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নাজির আহমেদ রিপন  । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম এর   কাছে  থেকে মাসিক মোটা অংকের দক্ষিণা পেয়ে থাকেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো
কাজই হয়না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম   হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমূদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।৷ অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সবমিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন।
নির্ভরযোগ্য  অনুসন্ধান সূত্রে ,জানা গেছে  সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল  ইসলাম  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার ফিফটি পার্সেন্ট  জেলা রেজিস্ট্রার কে দিতে হয় এবং কিছু  অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে  পারবেনা। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।

এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার  এবং  কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে তার কথিত সহকারী জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ম্যানেজ করে এইসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালান।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের সাথে