খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩২

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টিতে পথে ঘাটে

স্টাফ রিপোর্টার হাসান আহমেদ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ
   
ঝড়-বৃষ্টিতে পথে ঘাটে

বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী ঝড় আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বজ্রপাত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই কিছুটা সাবধানে থাকাই ভালো। এছাড়া মেঘ ডাকা, বিদ্যুৎ চমকানো, বাজ পড়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, সেগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরি। নাহলে যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বিপদ।তাই আসুন জেনে নিই ঝড়-বৃষ্টিতে আটকা পড়লে নিজেকে নিরাপদ রাখতে যা করবেন –

১.নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করুন
ঝড়-বৃষ্টির সময় রাস্তায় আটকা পড়লে ঘাবড়ে যাবেন না। ঝড়ের সময় অযথা দৌড়াদৌড়িও করবেন না। কিংবা দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে ঝড় থামা পর্যন্ত নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. গাড়িতে থাকলে
বৃষ্টি বা ঝড়ের সময় গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। বরং এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

৩.বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে দূরে থাকুন
রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তবে তার আশপাশে যাবেন না। কেননা সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪.গাছের নিচে দাঁড়াবেন না
ঝড়-বৃষ্টির সময় গাছ উপড়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ঝড়ের সময় গাছের আশেপাশে না থাকাই ভালো। এছাড়া বড় গাছ বিদ্যুৎকে আকর্ষণ করে। ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।

৫.ধাতব কাঠামোর ছাউনির নিচে আশ্রয় নয়
ঝড়-বৃষ্টির সময় ধাতব কাঠামোর ওপর বানানো কোনো ছাউনির নিচে আশ্রয় নেবেন না। কেননা ঝড়বৃষ্টির সময় এ ধরনের ধাতব কাঠামো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

৬.জলাশয়ে অবস্থান করবেন না
ঝড় বা বৃষ্টির সময় পুকুর, খাল, নদী বা জলাশয়ে অবস্থান করবেন না। কারণ, এসব জলাশয়ে বজ্রপাত হলে পুরো জলাশয়টি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে।

৭.ভাঙা বা নির্মাণাধীন বাড়ি এড়িয়ে চলুন
ঝড়-বৃষ্টির সময় ভাঙা বা নির্মাণাধীন বাড়ির নিচে দাঁড়াবেন না। পুরনো দেয়ালের পাশে দাঁড়ানোও ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা দেয়াল ভেঙে ঘটতে পারে অঘটন। কিংবা ঝড়ে নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে কোনও ভারী বস্তু পড়তে পারে।

বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৫ অপরাহ্ণ
   
বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় ১৪৪ ধারা জারি

বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই সময় একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘‘নড়িয়া পৌর এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি আছে। সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির দুটি পক্ষই তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেনি।’’

চট্টগ্রামের সাবেক বন কমকর্তা খুসরু আমিন এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

ক্রাইম রিপোর্টার আলতাফ চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
   
চট্টগ্রামের সাবেক বন কমকর্তা খুসরু আমিন  এর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অবশেষে চট্টগ্রাম সাবেক ফরেস্টার, স্টেশন কর্মকর্তা, ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন, কুমিরা রেঞ্জ, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এ থাকাকালীন কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে   জনাব মোঃ খসরুল আমিন এর বিরুদ্ধে এমনটা আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে

বনের গাছ গিলে খাচ্ছেন ফরেস্টার খসরু আমিন   অবৈধভাবে গড়ে উঠা করাতকলগুলো। সহযোগিতা করছেন বন বিভাগের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা  কর্মচারীরা। এভাবে চলতে থাকলে উজাড় হয়ে যাবে সংরক্ষিত বন বাগান। বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই চলছে এগুলো। এসব করাতকলে উজাড় হচ্ছে বনের গাছ। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রেঞ্জ অফিস ও বিট অফিসের নাকের ডগায় মালিকরা করাতকল স্থাপন করে দিনরাত চোরাই কাঠ চেরাই করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তা, বিট কর্মকর্তা ও ফরেস্ট গার্ডদের সহযোগিতায় দিনের পর দিন এসব করাতকল চালু রয়েছে। এসব করাতকল ও অতিরিক্ত গাছ চুরির কারণে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকার বাগান ধংস হয়ে যাচ্ছে। করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান না থাকায় অনুমোদনহীন এসব অবৈধ করাতকলের মাধ্যমে বেপরোয়াভাবে চলছে বৃক্ষ নিধন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন বিভাগের আইনে বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে করাতকল স্থাপন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও অবাধে চলছে এগুলো।

সংরক্ষিত সামাজিক বনায়নের ভিতর, বনঘেঁষে, এমনকি বন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের কাছেই স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ করাতকল। সেখানে গাছ চোর ও কাঠ ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে চেরাচ্ছে বনের গাছ। ফলে উজাড় হচ্ছে বন। এতে সংকটে পড়ছে বন্যপ্রাণী।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে