খুঁজুন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

পল্টিবাজ বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

অনুসন্ধান সিরিজ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ অপরাহ্ণ
পল্টিবাজ বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

ভয়াবহ পোস্টিং বাণিজ্যে চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন অধিদপ্তরে মাঠপর্যায়ের বনকর্মীরা। বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫-১৬ বছর সুবিধাভোগী বন কর্মকর্তা। বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের পদে (সিএফ) আছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৩ সালে নিয়োগ পাওয়া এই মোল্যা রেজাউল করিম গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামে সিএফ (বন সংরক্ষক) পদে পদায়ন পান। এর আগে বন প্রতিমন্ত্রী হাবিবুন্নাহারকে মা ডেকে পতিত সরকারের আমলে বিভিন্ন লোভনীয় জায়গায় কর্মরত থেকে ব্যাপক সুবিধা ভোগ ও অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ।

মাঠ পর্যায়ে অর্থ সংগ্রহের জন্য পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতি নিম্নস্তরের (ফরেস্টগার্ড ও ফরেস্টার) কর্মকর্তাদের অঘোষিত ক্যাশিয়ার নিয়োগ করা হয়। এসব ক্যাশিয়ারের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন তার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন একাডেমিতে চাকরি করা ফরেস্টার মো. আবদুল হামিদ। এ নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে বন অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।

অব্যাহতভাবে নানামুখী অনিয়ম, পোস্টিং বাণিজ্যের ফলে বন বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বদলি, পদায়নের নিয়মনীতি উপেক্ষিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন বিভাগের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন অঞ্চলে পোস্টিং বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্যাশিয়ার প্রথা চালু নিয়ে পুরো বন সার্কেলেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ‘কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি, কখনো জামায়াত’ পরিচয় বহনকারী এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বনবিভাগের কর্মচারীরা পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের দুর্নীতি স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতিকেও হার মানাচ্ছে। দুর্নীতিবাজ সিএফ মোল্লা রেজাউল করিমকে বিচারের আওতায় আনার আবেদনও জানানো হয় লিখিত অভিযোগে।

অভিযোগে প্রকাশ, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর মোল্যা রেজাউল করিম সুকৌশলে বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে বন সংরক্ষক চট্টগ্রাম অঞ্চলের পদটি বাগিয়ে নেন। গত বছরের আগস্ট মাসে তার বদলি হলেও ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সিএফ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে বনবিভাগে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, মোল্লা রেজাউল করিম বন বিভাগে চাকরির আগে সমবায় অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। সেখানে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাকরি ছাড়েন। রাজশাহী বনবিভাগে ডিএফওর দায়িত্ব পালনকালে সরকারি গাড়ির মিটার রিডিং পরিবর্তন করে তেলের টাকা আত্মসাতের ঘটনাও বনবিভাগের লোকের মুখে মুখে।

গত ২০০৩ সালে আওয়ামী লীগ কোটায় ২২তম বিসিএসের মাধ্যমে বন বিভাগে তার আগমন ঘটে। প্রথম দায়িত্ব হিসাবে পান রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কাপ্তাই রেঞ্জে। কাপ্তাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সময় শুরু হয় তার দুর্নীতি। তৎকালীন কাপ্তাই রেঞ্জের অধিকাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সেগুন গাছ পাচার হয় মোল্যা রেজাউল করিমের প্রশিক্ষণকালীন।

অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন কাপ্তাই এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী বন সংরক্ষক শাহাবুদ্দিন রেঞ্জ কর্মকর্তা মোল রেজাউলের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করায় সহকারী বন সংরক্ষকের জীবন ঝুঁকিতে পড়ারও নজির রয়েছে।সংরক্ষিত বন ধ্বংস করে টাকার পাহাড় গড়েন মোল্যা। শুরু হয় মোল্যার দুর্নীতি আর পোস্টিং বাণিজ্যের কারবার। ফেনী ডিভিশনে দায়িত্বে থাকাকালীন বাগান সৃজন ও ইকোপার্ক প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করায় তৎকালীন সিসিএফ ইউনুস এই মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দাখিল এবং চাকরিচ্যুতির প্রস্তাবও দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের তদবিরে তিনি পার পেয়ে যান।

আওয়ামী সরকারের সাবেক বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদের পৃষ্ঠপোষকতায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মন্ত্রণালয় থেকে সেই চাকরিচ্যুতির প্রস্তাব গায়েব করেন এই মোল্যা।

সূত্র বলছে, বাগেরহাট ডিভিশনের দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের সাবেক বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মাধ্যমে পিরোজপুর এলাকায় ইকোপার্ক করার জন্য মোটা অংকের টাকার প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে কোটি কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা ও আত্মসাৎ করেন। এই কাজের বড় একটা অংশ সাবেক বনমন্ত্রীর স্ত্রীকেও দেওয়া হয়। যার কারণে পরে সাবেক বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রীর অনুরোধে তাকে পুরস্কার হিসেবে বান্দরবানে পাল্পউড বাগান বিভাগে পদায়ন ও বদলি করা হয়। বান্দরবানে যোগদান করে অবৈধ জোত পারমিট প্রদানসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংসে মেতে উঠেন। অবৈধ জোত পারমিটের আড়ালে লাখ লাখ ঘনফুট কাঠ সংরক্ষিত বনাঞ্চল হতে পাচার করা হয়।

তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ আমলে মোল্যা রেজাউল করিম ঢাকা মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালেও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

অভিযোগের তথ্য মতে, বান্দরবান পাল্পউড ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দুর্নীতির টাকা দিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্ল্যাট তৈরি করেন। বাসার আসবাবপত্রসহ দরজা বন্দরবানের সংরক্ষিত বনের কাঠে তৈরি।তথ্য মতে, মোল্যা রেজাউল করিম যশোর সার্কেলে বন সংরক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে বন্দরবানে সহযোগিতাকারী ফরেস্টার মোঃ সিরাজুল ইসলামকে যশোর সার্কেলে বদলি করে নিয়ে যান। সেখানেও সামাজিক বনায়নের লটের কাঠের গড় নিলাম মূল্য কম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। মোল্যা রেজাউল করিম যশোর সার্কেলের সিএফ থাকাকালীন সাবেক বনপ্রতি মন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মা সম্বোধন করতেন। হাবিবুর নাহারকে মা ডাকার সুবাধে মোল্যা রেজাউল করিম সিএফকে বদলি করা হয় সবচেয়ে লাভজনক সার্কেল বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেল ঢাকায়। সেখানে যোগদানের পর বনের জমি বিক্রিসহ নানান অপকর্ম করায় এলাকার অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মোল্যা রেজাউল করিমকে বনমন্ত্রী বদলি করতে বাধ্য হন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এত অনিয়ম, দুর্নীতি, সুবিধাভোগ করার পরও মোল্যা রেজাউল করিম নিজেকে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন।

তথ্য বলছে, মোল্লা রেজাউল করিম চট্টগ্রাম অঞ্চলে যোগদান করে প্রত্যেক বনবিভাগে মতবিনিময় সভার নামে ঘুষ আদায়ের পদ্ধতিগত সভার অয়োজন করেন। ওই সভাগুলোতে অনেক বনকর্মীকে গালমন্দ করার নজিরও রয়েছে। চট্টগ্রাম সার্কেলের সিএফ হতে ৩ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে ডিভিশনের ডিএফওদেরকে টাকা দিতে  বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ আছে।অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকে বিভাগীয় (ডিভিশন) অফিস থেকে টাকা আদায়ের দায়িত্ব পালন করেন ডিএফও আব্দুর রহমান, ডিএফও আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদীন, ফরেস্টার আবদুল হামিদ, পদুয়া চেক স্টেশনের ফরেস্টার মামুন মিয়া, সহকারী বন সংরক্ষক শীতল পাল ও ফরেস্টার গাজি শফিউল। প্রাথমিকভাবে প্রতি ডিভিশন থেকে ১ কোটি টাকা মোল্যাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মারুফ হোসেন ও দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এক কোটি টাকা দেওয়া ও ক্যাশিয়ার নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বনবিভাগের সূত্র একাধিক জানিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি মোল্যা রেজাউল করিম পোস্টিং বাণিজ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভিশনে কর্মরত ২৬ জন ফরেস্টার, ৩৭ জন ফরেস্ট গার্ড, ৩১৩ জন নৌকাচালকসহ মোট ৭৬ জনকে বদলি করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পোস্টিংয়ের বিষয়ে এবং ক্যাশিয়ার নিয়োগের বিষয়ে আপনারা তদন্ত করেন।

কোনো বাণিজ্য হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিকড় গেড়ে বসে আছে, তারা বিগত সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এসেছিল। তারা এখন বিভিন্ন রকমের বিপর্যয়ের মধ্যে আছে, তারা বিগত সরকারের আমলে বিনিয়োগ করে এসে পোস্টিং নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, এখন রাষ্ট্র সংস্কার করা দরকার। অনেক তাজা রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশটাকে ভালোর দিকে নিয়ে গেছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর সরকার আমাকে কায়েমি স্বার্থবাদীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি পোস্টিং বাণিজ্য চিরতরে নির্মূল করতে চাই।

বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন

কানাডায় পলাতক রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
   
কানাডায় পলাতক রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

মরক্কোয় বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। কানাডায় পালিয়ে গিয়ে, তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে যে পোস্ট করেছেন, তা গোপন উদ্দেশ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে এবং বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মরক্কোয় বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে এসে দ্রুত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে, তিনি ওই পদে বহাল থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব ছাড়েন।

বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, তিনি নানা অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া, তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে যান। ৬ মার্চ তিনি ঢাকা ফিরে আসবেন বলে নির্ধারিত ছিল, কিন্তু তিনি ফেরত আসেননি।

শুক্রবার তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রশংসা করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে এমন ভ্রান্ত চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেন। পোস্টে হারুন আল রশিদ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে অসম্মান করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা এই ধরনের পোস্ট একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু উদ্বেগজনক। এটি লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিপ্রায়কেও ইঙ্গিত করে।

বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, কানাডায় গিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করে, তিনি নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই তার ও তার পরিবারের পাসপোর্ট বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এসব কার্যকলাপের জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মন্ত্রণালয় তার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ   এর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রুবেল  ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ    সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের বিরুদ্ধে  ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ  ও দুর্নীতিতে দিশেহারা ভোক্তভোগীগণ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন এলাকাবাসী

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
   
শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ   এর সাব রেজিস্ট্রার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম রুবেল  ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ    সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের বিরুদ্ধে  ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ  ও দুর্নীতিতে দিশেহারা ভোক্তভোগীগণ : দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা  করেছেন এলাকাবাসী

 চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম রুবেল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপনের   বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিগেট তৈরি করে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন এমনটিই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট থেকে। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকসহ ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা কোনো দলিল রেজিস্ট্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে হয়রানির শেষ থাকে না। দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন সাব-রেজিস্ট্রারসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। আমরা তাদের কাছে জিম্মি। প্রকাশ্যে টিপসহি প্রতি ঘুষ নিচ্ছেন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে এভাবে ঘুষ নেন একজন পিয়ন, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
সাধারণ মানুষের ধারণা সরকারি অফিস মানেই হচ্ছে ঘুষ বা অবৈধ লেনদেনের কারবারের জায়গা। সরকারি কর্মকর্তা মানে হচ্ছে জনগণের সেবক, এমন বিষয়টিই আমরা জেনে আসছি। কিন্তু তাঁরা আসলে কতটা জনগণের সেবক, তা নিয়ে জনগণের মনেই সব সময় সন্দেহ কাজ করে। আর সংবাদমাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত খবরাখবর থেকেই আমরা বুঝতে পারি বাস্তবতা আসলে কী বলে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েও বিগত সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বরং কোনো কোনো জায়গায় ছাড় দিয়ে দুর্নীতিকে আরও প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি পারবে সরকারি অফিসগুলো দুর্নীতিমুক্ত করতে?
ঘুষ, চাঁদাবাজি বা অবৈধ লেনদেনের সব সময় বড় অভিযোগ ওঠে তহশিল অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোকে কেন্দ্র করে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে জমির দলিলসহ সরকারি যেকোনো দলিল বা চুক্তিপত্র নিবন্ধন করা হয়। সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় উৎস এসব অফিস। কিন্তু অভিযোগ আছে, যত রাজস্ব এসব অফিস থেকে আদায় করা হয়, তার চেয়ে বহুগুণ অর্থ এখানে অবৈধভাবে লেনদেন হয়। এ নিয়ে সব সময় সংবাদমাধ্যমগুলো সরব থেকেছে। এরপরও দেশজুড়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দুর্নীতির দৌরাত্ম্য কমেনি। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও দিন শেষে পরিস্থিতি আগের জায়গায় গিয়েই ঠেকে।
অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম। শিবগঞ্জ  সাব রেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম  রুবেল ও জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন   এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমুদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সব মিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ   সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার কিছু অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে পারবে না। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।
এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীগণ।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সব ধরণের অবৈধ লেনদেন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে যথাযথ জবাবদিহির আওতায় আনা হোক।   বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন; সারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের সাথে

মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
   
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা জান্তা সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারেন রাজ্যের হপা-আন জেলার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সামরিক বাহিনীর ‘পুলুতু ঘাঁটি’ দখল করে নেয় কেএনএলএ।

কারেন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় এক মাস ধরে লড়াইয়ের পর আজ ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। সেখানে শাসকগোষ্ঠীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩১-এর সৈন্যরা অবস্থান করছিল।

কেএনএলএ ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডারের বরাত দিয়ে কারেন ইনফরমেশন সেন্টার (কেআইসি) জানিয়েছে, অভিযানের সময় দুই জান্তা সেনা নিহত এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

কেএনএলএ কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগের সংঘর্ষে কেএনএলএ স্নাইপাররা পুলুতু ঘাঁটির ছয় জন শাসক সৈন্যকে হত্যা করেছিল।

থাই মিডিয়া আউটলেট দ্য রিপোর্টার্সের মতে, শুক্রবারের প্রতিরোধ হামলা থেকে পালিয়ে আসা শাসক সৈন্যদের আটক করে থাই সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের যে কোনো লঙ্ঘন রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কেএনএলএ এবং তার মিত্রদের প্রায় ১০০ জন সৈন্যের একটি বাহিনী মন রাজ্যের বেলিন টাউনশিপে জান্তার কৌশলগত মে পাল ঘাঁটি দখল করে। সেসময় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ২৯ জন সৈন্যকে বন্দী করা হয়। কেএনইউ জানিয়েছে, ঘাঁটির জন্য লড়াইয়ের সময় নিহত ২৯ জন শাসক বাহিনীর মধ্যে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।

২০২১ সালে জান্তা সেনারা দেশব্যাপী শত শত শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পর থেকে কারেন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনটি কয়েক হাজার শাসনবিরোধী নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে।

বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পাশাপাশি কেএনইউ-এর সশস্ত্র শাখাগুলো কারেন ও মন রাজ্য, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চলে, পাশাপাশি জান্তার প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে লড়াই করছে।

জান্তা কেএনইউ-অধিকৃত অঞ্চলে বেশিরভাগ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালানোর জন্য ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এর ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।