ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত’ ইধিকা পাল

প্রথমবারের মতো ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা করেই দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সিনেমায় কাজ করে চলেছেন। ঢালিউডের পর টলিউডে পা দিয়েও সুপারহিট ইধিকা। দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘খাদান’ সিনেমাও ব্লকবাস্টার এই নায়িকার ছোট পর্দা থেকে পথ চলা শুরু হয়েছিল ইধিকার। এরপর শাকিবের ‘প্রিয়তমা’, সবশেষ দেবের ‘কিশোরী’। দুই পরিচয়েই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। নতুন বছরের সূচনালগ্নে নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যত পরিকল্পনা, প্রেম ও গুঞ্জন ইত্যকার নানা বিষয়ে ইত্তেফাক ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। ইত্তেফাকের পাঠকদের জানিয়েছেন নতুন বছরের শুভেচ্ছাও।
ইধিকা পাল : বর্তমানে আপাতত ‘খাদান’ এর প্রতি মানুষের ভালোবাসা; উন্মাদনা এসব নিয়ে এবং আমার নতুন ছবি ‘বরবাদ’ এর নতুন শিডিউলের শ্যুটিং এসব নিয়েই ব্যস্ত আছি।
ইত্তেফাক : গেল বছর (২০২৪) কেমন কাটলো? প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির কথা যদি একটু বলেন-
ইধিকা পাল : ২০২৪ খুব ভালো কেটেছে। অনেক নতুন কিছু শিখেছি, উপলব্ধি করেছি। প্রাপ্তি বলতে অনেক প্রাপ্তিই আছে। দর্শকের ভালোবাসা অনেক বড় প্রাপ্তি। ২০২৪-এ আমার ছবি ‘খাদান’ রিলিজ করলো; এই ডিসেম্বরেই। ছবিটা ঘিরে আমরা দর্শকদের মধ্যে অনেক উচ্ছ্বাস; তাদের অনেক উন্মাদনা দেখতে পেয়েছি। তারা ছবিটাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে এইটাই আলাদাভাবে একটা বড় প্রাপ্তি, যেটা বলে বা বুঝিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া ‘খাদান’ এর মতো একটা ছবিতে অংশ হতে পারা একটা প্রাপ্তি। ‘বরবাদ’ এর মতো একটা ছবিতে অংশ হতে পারা; সেটার প্রিপারেশন নেওয়া, সেটার কাজ এখনও চলছে, এটা একটা বড় প্রাপ্তি। দুই বাংলার দুই সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করতে পারা, শাকিব খান এবং দেব, সেটা একটা বড় প্রাপ্তি। আর যীশু সেনগুপ্তর মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারা এটাও একটা বড় প্রাপ্তি। অনেকগুলো প্রাপ্তিই আছে। তেমনি কিছু হারিয়ে যাওয়াও আছে, কিন্তু আমার মনে হয় সবসময় পজেটিভ ভাবা উচিত এবং পজেটিভ সাইডটাকেই ধরে রাখা উচিত। যেটা ভুল হয়েছে বা যেটা নেগেটিভ সাইড সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সবমিলিয়ে ২০২৪ খুব ভালো কেটেছে এবং আশা করছি ২০২৫ আরো ভালো কাটবে।
ইত্তেফাক : সম্প্রতি গ্রুপ ট্যুরে গিয়ে একজন ফটোগ্রাফারের সঙ্গে আপনার একটি ছবিকে ঘিরে প্রেমের গুঞ্জন নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই-
ইধিকা পাল : আচ্ছা, এই প্রশ্নটাতে প্রথমত ব্যাপারটা সম্প্রতি নয়, কারণ এইটা আমার মনে হয় গত বছরের ঘটনা। ২০২৩ সালের, যদি আমি ভুল না বলি। আর গ্রুপ ট্যুর তো একেবারেই নয়, (হেসে) কারণ ওটা ট্যুর ছিলোই না। ফটোশ্যুটের কারণে আমরা গিয়েছিলাম, একটা ব্র্যান্ডের শ্যুটের জন্য। যারা ওইখানে উপস্থিত ছিল, মানে আমরা সবাই কাষ্টিং ক্রু ওইখানে গিয়েছিলাম। আমরা যেমন শ্যুটিংয়ের জন্য আউটডোরে যাই, এটাও ঠিক তেমনি একটি শ্যুটিং, কাষ্টিং ক্রুরা গিয়েছিল এবং আমরা শ্যুটিং করে বাড়ি চলে এসেছি। সেটার বাইরে আর কোনোকিছুই সত্যি নয়। প্রেমের গুঞ্জন-টুঞ্জন তো একেবারেই বাজে কথা। (হেসে) সেখানে কোনো প্রেমের সম্পর্ক-টম্পর্ক ছিলো না। সেখানে প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের ভালো সম্পর্ক ছিলো ঠিকই, কিন্তু ভালো সম্পর্ক মানে এটা নয় যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকা! আর সেখানে সবার সাথে সবার একটাই সম্পর্ক যেটাকে বলে প্রফেশনাল। এটার বাইরে সেখানে আসলে কারো সাথে কোনো প্রেমের সম্পর্ক সেখানে ছিলো না, এটা সম্পূর্ণভাবেই আসলে গুঞ্জন।
ইত্তেফাক : আপনার জীবনে প্রেম আসেনি? সম্পর্ক বা বিয়ে বিষয়ে কিছু বলুন-
ইধিকা পাল : প্রেম তো অবশ্যই এসেছে। (হেসে) এবং তা চলেও গেছে এসে। তবে সম্পর্ক আসলে আমি স্থাপন করার চেষ্টা করছি আমার কাজের সঙ্গে, আমার দর্শকদের সঙ্গে। তাদেরকে আরো ভালো ভালো কাজ উপহার দিয়ে, আরো পরিশ্রম করে; আরো খেটে দর্শকদের আরো ভালো ভালো কাজ উপহার দিয়ে তাদের সাথে দৃঢ় একটা সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছি। (হেসে) আমার জীবনে আপাতত এই একটা সম্পর্কই আছে।
ইত্তেফাক : নতুন বছর দ্বারপ্রান্তে… নতুন বছরের প্রত্যাশা বা স্বপ্নগুলো কিরকম?
ইধিকা পাল : নতুন বছরের স্বপ্ন তো অনেকগুলোই আছে, কিন্তু নতুন বছরের রেজ্যুলেশন হচ্ছে কি করে নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করবো সেটা নিয়ে ভাবা।
ইত্তেফাক : দৈনিক ইত্তেফাকের পাঠকদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলেন-
ইধিকা পাল : বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের সকল পাঠকদের জানাই ভেরি হ্যাপী নিউ ইয়ার। নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। নতুন বছর খুব খুব ভালো কাটুক। এমনটাই জানতে পেরেছে দৈনিক সকাল বেলা পত্রিকা অনুসন্ধানে রিপোর্ট এ
আপনার মতামত লিখুন