
কালামপুর ঢাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করে , দলিল প্রতি মোটা অংকের ঘুষ নেয়াসহ নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাজনা খারিজসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও দলিল প্রতি ১০ হাজার টাকা করে উৎকোচ না দিলে কোন কাজ হয় না অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে খোদ দলিল লেখক ও দাতা গ্রহীতারা অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া কালামপুর ঢাকা কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে তিন দিনের বেশি অফিস করেন না বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে অফিস চত্বরে হর-হামেশা উচ্চবাচ্য ও হট্টোগোলের ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে দ্বিগুণ উৎকোচের বিনিময়ে জাল কাগজপত্র দিয়েই দলিল পাড় করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী আব্দুর রহমান এর বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় যে সকল গ্রহীতা উৎকোচ দিতে অনিচ্ছুক তারা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর যারা বাধ্য হয়ে উৎকোচ দিচ্ছেন তারা সীমাহীন ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অনুসন্ধান জানা গেছে
সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দাতা গ্রহীতাদের মধ্যে যারা সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিল প্রতি নির্ধারিত উৎকোচ জমা দিচ্ছেন তাদের দলিলে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে এজলাসে দাখিল করা হচ্ছে। আর যারা উৎকোচ দিচ্ছেন না তাদের কাগজপত্রে বিভিন্ন ত্রুটি দেখিয়ে ফেরত দেয়া হচ্ছে। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সহকারী আব্দুর রহমান বিরুদ্ধে দুর্নীতি শেষ নেই
প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন। আর কাগজের ত্রুটি থাকলে আরও অতিরিক্ত ৬০০০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এমন কয়েকজন দলিল লেখককে তিনি অপমান করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ পত্রিকা কে বলেন, ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দলিলের ক্ষেত্রে পে-অর্ডার বাদে ২% টাকা হাতে নেয়ার নিয়ম আছে। এ ছাড়া আর কোনো টাকা নগদ নেয়ার নিয়ম নাই। কিন্তু আমরা অফিসারদের কাছে জিম্মি। এবং কালামপুর এলাকাবাসীর অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন