
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে মোল্যা রেজাউল করিম এর বদলী বানিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ের উপর উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম।
অভিযান পরিচালনা করে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র জব্দ করেন সংস্থাটি। পাশাপাশি উত্থাপিত অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্টদের তথ্য রেকর্ডপত্র সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ঐ দিনই স্মারক নং- ২২.০১.০০০০.৭০১.০২.০৬৫.২৪.৫৪০ মোতাবেক তথ্য রেকর্ড পত্র চেয়ে তার অধীনস্থ বন বিভাগ সমূহে চিঠি পাঠান। যেখানে অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ১ ডিএফও এবং ৪ ফরেস্টার তথ্য না চাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে সুষ্ঠ তদন্তে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
জানা যায় মোল্যা রেজাউল করিম চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে যোগদান করে চাঁদা আদায়ের জন্য একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন। যার মূল হোতা ছিল মোল্লা রেজাউল করিম এর পূর্ব কর্মস্থলের কর্মরত আব্দুল হামিদ, ফরেস্টার যার ব্যাংক একাউন্ট গত আগস্ট মাস থেকে শুরু করে হালনাগাদ বিশ্লেষণ করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০ টি ডিভিশনের বিভিন্ন জায়গা থেকে কি পরিমান টাকা লেন-দেন হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন ডিভিশন হতে বদলী বানিজ্য, সুফল বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালন ব্যয় এর বাগান, অন্যান্য মেরামত ও স্থাপনা তৈরীর টাকা হাতে হাতে কালেকশন করে হামিদ এর বালুচরের বাসায় পৌছানোর দায়িত্বে আছে মো: সাদেকুর রহমান ফরেস্টার মো: আনিচুর রহমান, ফরেস্টার চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ ও মো: রাসেদ মিয়া, ফরেস্টার উপকূলীয় বন বিভাগ চট্টগ্রাম। এছাড়াও জানা যায় উপকুল বন বিভাগের ডিএফও মো: বেলায়েত হোসেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০ ডিভিশনের ডিএফও দের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়টি দেখতেন।
সিএফ মোল্যা রেজাউল এর দুর্নীতি বিরুদ্ধে দুদক কর্তৃক যাদের তথ্য সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে চাঁদা আদায়কারী মোল্লা বাহিনীর শীর্ষে থাকা ৪ ফরেস্টার যথাক্রমে আব্দুল হামিদ, সাদেকুর রহমান, আনিচুর রহমান, রাসেদ এবং ডিএফও বেলায়েত হোসেন এর কোন তথ্য চাওয়া হয়নি। কোন অজ্ঞাত কারণে ৪ জন ফরেস্টার ও ১ জন ডিএফও’র তথ্য চাওয়া হয়নি বিষয়টি চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত অনেকের কাছে রহস্যময়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত অনেকের দাবী এই সকল শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের তালিকা দুদক এর নথিভুক্ত হোক এবং তাদের দালালীর বিচার করা হোক।
জানা যায় সাদেকুর রহমান ফরেস্টার ও আনিচুর রহমান ফরেস্টার সাবেক সিএফ বিপুল কৃষ্ণ দাস এর সকল অনিয়মতান্ত্রিক ঘুষ আদায়ে পারদর্শ থাকায় তার আস্থাভাজন ছিলেন। তাদের মাধ্যমেই চট্টগ্রাম সার্কেলের ১০ টি বন বিভাগ থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করতেন বিপুল কৃষ্ণ দাস। বিপুল বাবু অন্যত্রে বদলি হবার পর মোল্লা রেজাউল করিম বন সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত ও দায়িত্ব গ্রহণের পর ঐ ২ জনই আবারও বর্তমানে বন সংরক্ষকের আস্থাভাজন হয়েছেন। পূর্বের ন্যায় বন সংরক্ষকের নামে ঘুষ আদায় অব্যাহত রেখেছেন বলে সূত্র জানায়।বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন