খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

যুবলীগ নেতাকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ
যুবলীগ নেতাকে মামলার ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতার চাঁদা দাবী

নওগাঁর রাণীনগরে এক যুবলীগ নেতাকে নতুন করে বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে মামলা রেকর্ড হওয়ার আগেই তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে কৌশল হিসেবে অন্য দুই জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ইউনিয়ন যুবলীগের ওই নেতাকে। পরবর্তীতে দেখিয়ে দেওয়া দুইজনের মধ্যে সালাম নামের একজন টাকা দাবি করে সেই যুবলীগ নেতার কাছে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম মো. সানোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত ব্যক্তি

মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেখিয়ে দিয়েছিল তারা হলেন সালাম ও সাজ্জাদ নামের দুই সমর্থক।

অপরদিকে যার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে তার নাম পলক। তিনি রাণীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন

তিনটি কল রেকর্ডে জানা যায়, সানোয়ার হোসেন নামের ওই নেতা পলককে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র মামলার তালিকা হয়েছে জানায়। এরপর পলক উত্তরণের উপায় জানতে চাইলে সালাম ও সাজ্জাদ নামের দুই জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কথামতো পলক সাজ্জাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সালাম নামের আরেকজনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। সেই অনুযায়ী সালাম প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পলকের কাছে দাবি করে। পরে ৩০ হাজার টাকা দিতে বলে বিকাশে। এমনকি সময় বেঁধে দেওয়া হয় পরের দিন দুপুরের মধ্যে। অন্যথায় মামলা রেকর্ড হয়ে যাবে বলে মৃদুস্বরে হুমকি দেওয়া হয়। যদিও রোববার ২ মার্চ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি বলে জানা গেছে।

পলকের সঙ্গে তাদের তিনজনের এই কথোপকথনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার)। তিনজনের পৃথক তিনটি অডিও ক্লিপ এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ওই যুবলীগ নেতা পলক।

৩ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ডে সানোয়ারকে বলতে শোনা যায়, বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র মামলা হবে। এই মামলার একটা কপি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে চলে গেছে। তারাই এই মামলাটি করাচ্ছে। আমি, তুমি এই মামলা দিলে নিবে? প্রশ্নের সুরে বলেন তিনি। ওই তালিকাতে তোমার নাম আছে। ওখান থেকে নাম বাদ দিলে ঝামেলা হবে।

পলক খরচ দিতে চাইলে সানোয়ার বলেন খরচের বিষয় নেই এখানে। আমি যদি তোমাকে সেভ করি তাহলে বিএনপির কেউ এটা নিয়ে কথা বললে সমস্যা আছে। বিএনপির কেউ জানবে না, অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। এই জন্য সম্প্রতি হওয়া দুটি মামলাতে আমার নাম নেই বলেন পলক। এসব শোনার পর হাসতে হাসতে সানোয়ার বলেন, সবই বুঝলাম। এই সুযোগে উপরের কাউকে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করতে বলেন পলক। জবাবে সানোয়ার নরম সুরে বলেন, না, ওগুলো ওইভাবে হবে না। এরপর কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে সালাম ও সাজ্জাদ নামের দুইজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তোমার সঙ্গে সম্পর্ক আছে বিষয়টি স্মরণ করে দিয়ে আবারও সালাম ও সাজ্জাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

এরপর ১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে পলক সাজ্জাদের কাছে কথা হয়েছে কিনা জানতে চায়। জবাবে সাজ্জাদ বলেন, ভাই পরের দিন (২৪ফেব্রুয়ারি) ১২টা পর্যন্ত টাইম দিয়েছে। সালাম আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন পলক জানতে চায় কি পরিমাণ টাকা যোগাড় করবো জবাবে এগুলো ফোনে হয় না, সরাসরি করতে হয়।

গর্ব করে এলাকার চারজনকে সেভ করেছি জানিয়ে সাজ্জাদ বলেন, ওদেরকে লুঙ্গি খুলে ঘুরতে বলেছি। ওরা সেইসময় আমাকে হেল্প করেছিল। যারা হেল্প করেছে তাদেরকে আমি হেল্প করছি। তাই সালাম ভাই এসে টাকার পরিমাণ বলছে। ভাই বলে দিয়েছে।

সর্বশেষ ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ডে শোনা যায়, সালাম নামের ওই ব্যক্তি পলকের কাছে জানতে চায় পকেটের কি অবস্থা, খরচের কিছু আছে কি? পলকের কাছে টাকা নেই জেনে সালাম একাধারে বলতে থাকে, আচ্ছা যাইহোক সাজ্জাদ কাল দুপুর পর্যন্ত টাইম নিয়েছে। দুপুরের পর ওটা কিন্তু রেকর্ড হয়ে যাবে। যতো তাড়াতাড়ি পারো বিকাশে কিছু টাকা পাঠিয়ে দাও। এছাড়া ফিগারের কথা (টাকার পরিমাণ) জিজ্ঞেস না করার কারণে উল্টো স্মরণ করে দেন পলককে। এরপর ৫০ হাজার দেওয়া লাগবে। তবে ৩০ হাজারের নিচে সম্ভব না। মানে দুই জায়গায় দেওয়া লাগবে। তাই ওইটা দাও, পরের যে ইয়াগুলো আছে সেটা দেখা যাবে। এছাড়া তোমার আর আমার মিটিং করা লাগবে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে সালাম মুঠোফোনে বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন জড়িত না। টাকা চাওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছিল। তবে ওইরকম বিষয় না। সানোয়ার ভাই এটা ইয়ে করছিল। যাইহোক এটা নিয়ে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতে কথা বলবো।

মামলা থেকে বাদ দিতে পেরেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার সবকিছুই জানার বাহিরে। আমাকে বলতে বলেছে। আর বলেই দোষের মধ্যে পড়েছি। সানোয়ার ভাই ও সাজ্জাদ জানে। তবে টাকা দিয়েছে কিনা সেটা আমি বলতে পারবো না।

জানতে চাইলে সাজ্জাদ মুঠোফোনে বলেন, আমি সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের দরিয়াপুর এলাকার বিএনপির সমর্থক। পলকের নানার বাড়ি ও আমার নানার বাড়ি টাঙ্গাইলে। তাই তার সঙ্গে আমার মাঝে মাঝে কথা হয়। তারপরও এগুলোর জন্য আমাকে পলক কেন ফোন দিয়েছে সেটা জানতে চেয়েছিলাম। আমি কোনো বিষয়ে জানিনা। বিষয়টি জানিনা জন্য সালামের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। তবে কৌশলে সে সকল বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

জানতে চাইলে সকল বিষয় অস্বীকার করে সানোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, পলককে আমি চিনি না। কখনও ফিজিক্যালি দেখিনি। সে আমাকে ফোন দিয়ে বলে, ভাই আমি পলক। সে আমাকে বারবার উসকানি দিয়ে টাকার কথা বলছিল। আমি প্রশ্রয় দিইনি। বিরক্ত হয়েছিলাম। সেই জন্য সালামের ও সাজ্জাদের মোবাইল নাম্বার দিইনি।

মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সানোয়ার হোসেন আরও বলেন, এখনও মামলা করা হয়নি। তবে মামলা করবো। গোয়েন্দা সংস্থা মামলা করতে পারেনা। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা মামলা করবো।

সালামের টাকা চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সে কি বলেছে, সেটা আমার জানার কথা না। এছাড়া সাজ্জাদ ও সালামকে দেখিয়ে দিলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলকের দোস্ত (বন্ধু) লোক সালাম ও সাজ্জাদ। আওয়ামী লীগের সময়ে পলকের সঙ্গে তাদের খাতির ভালো ছিল। সেই জন্য আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।

জানতে চাইলে রাণীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিএনপির নাম ভেঙে বা উপজেলা বিএনপির সঙ্গে জড়িত থেকে কেউ অন্যায় করবে ও চাঁদাবাজি করবে, আমি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে সেটা মেনে নিব না। সানোয়ারের বিরুদ্ধে এরকম যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর সানোয়ার হোসেন সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিল। তাকে এবার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও কমিটি পাস হয়নি। তাই তার বিষয়টি এখন দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণ
   
মিয়ানমারে আরেকটি সেনা ঘাঁটি দখল করল বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের প্রাচীনতম জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের সশস্ত্র শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) এবং তাদের মিত্ররা জান্তা সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারেন রাজ্যের হপা-আন জেলার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জান্তা সামরিক বাহিনীর ‘পুলুতু ঘাঁটি’ দখল করে নেয় কেএনএলএ।

কারেন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রায় এক মাস ধরে লড়াইয়ের পর আজ ভোরে বিদ্রোহী বাহিনী ঘাঁটিটি দখল করতে সক্ষম হয়। সেখানে শাসকগোষ্ঠীর পদাতিক ব্যাটালিয়ন ৩১-এর সৈন্যরা অবস্থান করছিল।

কেএনএলএ ব্যাটালিয়নের একজন কমান্ডারের বরাত দিয়ে কারেন ইনফরমেশন সেন্টার (কেআইসি) জানিয়েছে, অভিযানের সময় দুই জান্তা সেনা নিহত এবং চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই মোই নদী পার হয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।

কেএনএলএ কমান্ডার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এর আগের সংঘর্ষে কেএনএলএ স্নাইপাররা পুলুতু ঘাঁটির ছয় জন শাসক সৈন্যকে হত্যা করেছিল।

থাই মিডিয়া আউটলেট দ্য রিপোর্টার্সের মতে, শুক্রবারের প্রতিরোধ হামলা থেকে পালিয়ে আসা শাসক সৈন্যদের আটক করে থাই সেনাবাহিনী মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।

থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা এবং থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের যে কোনো লঙ্ঘন রোধে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কেএনএলএ এবং তার মিত্রদের প্রায় ১০০ জন সৈন্যের একটি বাহিনী মন রাজ্যের বেলিন টাউনশিপে জান্তার কৌশলগত মে পাল ঘাঁটি দখল করে। সেসময় একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ ২৯ জন সৈন্যকে বন্দী করা হয়। কেএনইউ জানিয়েছে, ঘাঁটির জন্য লড়াইয়ের সময় নিহত ২৯ জন শাসক বাহিনীর মধ্যে একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন।

২০২১ সালে জান্তা সেনারা দেশব্যাপী শত শত শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থান-বিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করার পর থেকে কারেন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনটি কয়েক হাজার শাসনবিরোধী নাগরিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে সশস্ত্র করেছে।

বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকারের সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পাশাপাশি কেএনইউ-এর সশস্ত্র শাখাগুলো কারেন ও মন রাজ্য, বাগো ও তানিনথারি অঞ্চলে, পাশাপাশি জান্তার প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে লড়াই করছে।

জান্তা কেএনইউ-অধিকৃত অঞ্চলে বেশিরভাগ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালানোর জন্য ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। এর ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
   
মসজিদে ঢুকে ৩ ভাইকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরে মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে হত্যার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হোসেন সরদারকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৮-এর হেডকোয়াটার্স বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি হোসেন সরদার নিহত তিন ভাইয়ের আপন চাচা। বালু উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল।

কর্নেল আহমেদ বলেন, যারা নিহত হয়েছেন এবং হত্যায় যারা অভিযুক্ত তারা সবাই একসময়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বালু ব্যবসা ও বালু মহলার ইজারা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে হোসেন সরদারের নেতৃত্বে ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৮০/৯০ জনের দল নিয়ে চারটি বাড়িতে হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে ভিক্টিমরা বাড়ির সামনের মসজিদে আশ্রয় নিলে হোসেন সরদারের নেতৃত্বের সন্ত্রাসীরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার, তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এ ছাড়া তাদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদারকে (১৮) গুরুতর জখম করলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা আরও পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে এবং নিহতদেরসহ চারটি বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে।

অধিনায়ক বলেন, এই ঘটনায় মোট ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। র‍্যাব-৮-এর অধীনে মাদারীপুর ক্যাম্পের পৃথক অভিযানে সুমন সরদার (৩৩) নামে এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন ও সদরের সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

ক্রাইম রিপোর্টার আহমেদ ইমতিয়াজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ
   
চাঁপাইনবাবগঞ্জ  জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও সদরের  সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে এখানে একটাই সিস্টেম ঘুষ দিন আপনার কাজ বুঝে নিন ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের   সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম  ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ  নাজির আহাম্মেদ  রিপন এর বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম ও জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ নাজির আহমেদ রিপন  । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা। জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  সাব রেজিস্ট্রার মোঃ জহুরুল ইসলাম এর   কাছে  থেকে মাসিক মোটা অংকের দক্ষিণা পেয়ে থাকেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো
কাজই হয়না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম   হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু অংশ জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ রিপন  ও, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমূদয় টাকা জহিরুল ইসলাম সন্ধ্যায় তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।৷ অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সবমিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম এই অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।।
সূত্র জানায়, সাব রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন।
নির্ভরযোগ্য  অনুসন্ধান সূত্রে ,জানা গেছে  সাব রেজিস্ট্রার জহিরুল  ইসলাম  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার ফিফটি পার্সেন্ট  জেলা রেজিস্ট্রার কে দিতে হয় এবং কিছু  অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে  পারবেনা। কারণ তিনি সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।

এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে সাব রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার  এবং  কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সাব রেজিস্ট্রারের পক্ষে তার কথিত সহকারী জেলা রেজিস্ট্রার, আইজিআর অফিস ম্যানেজ করে এইসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালান।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের সাথে